‘গাজীপুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে, শিল্পায়নের মূল্য দিচ্ছেন স্থানীয়রা’
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশের মূল দূষণকারী বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তাদের অবহেলার কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। গাজীপুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। এই জনপদ একটা বিষাক্ত জনপদে পরিণত হয়ে গেছে। শিল্পায়নের যে প্রাইস বা মূল্য এটা স্থানীয়রা দিচ্ছেন। একসময় সারা বাংলাদেশই দেবে। বাংলাদেশের আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখান থেকে আসে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ইটিপি (পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে, তিনি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী ব্রিজের লবলং খালে গৃহস্থালি ও বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণের চিত্র সরেজমিনে ঘুরে দেখেন।
তিনি বলেন, 'জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে কখনো বলব না ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করে দেওয়া হোক। আমরা শুধু এটাই বলব, ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ করে দেন। অথবা আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করতে বলব। দোষ হচ্ছে যারা এটা পরিচালনা করে। তাদের প্রতি আহ্বান আগামী প্রজন্মের কথা মনে রেখে আপনারা দূষণমুক্ত শিল্প গড়ে তুলুন।'
'শ্রীপুরের মেয়র মহোদয়ের প্রতি আমাদের সতর্কতা। যদি দেখি তারা পরিবেশ আইন ভঙ্গ করছে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেব। বিশাল কারখানার সামান্য জরিমানা দিয়ে ক্ষতিপূরণ হবে না। আইন খতিয়ে দেখে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে তাদের জেলে নিতে হবে। লবণদহ সাগরকে নদী বানানো হয়েছে, সাগরকে বলবেন নদী, এরপর বলবেন খাল, খালকে বলবেন ড্রেন, ড্রেনকে বলবেন কাভার্ড ড্রেন,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'টিটু নামে একজন খালে ময়লার ফেলার মাধ্যমে ব্যবসা করছে। আরও একজন আছে। প্রশাসনকে বলব তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনকে ২ মাস সময় দিলাম পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে।'
মেঘনা নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ইটিপির অংশ বিশেষ বন্ধের বিষয়ে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর উপপরিচালক নয়ন মিয়া বলেন, 'এটা বায়োলজিক্যাল ইটিপি। আমরা এখানে এসে তাদের পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান (পিএইচ) বন্ধ পেয়েছি। তারা (কারখানা কর্তৃপক্ষ) বলেছে পানির লেবেল বাড়লে প্ল্যান চালু করে। এটা অনেক বেশি টেকনিক্যাল বিষয়। এখন আলোচনা করা যাবে না।'
Comments