কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ

আবাসিক প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় কাটছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। ছবি: মোকাম্মেল শুভ/স্টার

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে একটি প্রকল্পের অধীনে বহুতল আবাসিক ভবন সংলগ্ন পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের অধীনে কলাতলীতে ১৫ তলা বিশিষ্ট ৪টি ভবন তৈরি করা হয়েছে, যেগুলোর ইন্টেরিয়রের কাজ চলমান।

আজ রোববার বিকেলে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্পের দুটি ভবনের মাঝখানে পাহাড়ের একটি অংশ কাটা হচ্ছে।

এছাড়া, একটি ভবনের পেছনের আরেকটি পাহাড়ের কিছু অংশ কাটা হচ্ছে।

পাহাড় কাটা মাটি পাশের একটি নিচু জমিতে ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। ছবি: মোকাম্মেল শুভ/স্টার

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার কাজ চলছে।

পাহাড় কাটা মাটি একটি ট্রাকে করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রকল্প এলাকার সামনের দিকের নিচু জমি ভরাট করতে দেখা গেছে।

সেখানে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১০ দিন ধরে ওই স্থানে পাহাড় কাটা চলছে।

তবে, পাহাড় কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কমোডোর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রকল্প এলাকায় কোনো পাহাড় কাটা হচ্ছে না। দুটি ভবনের মধ্যে ৯০ ডিগ্রি খাড়া একটি পাহাড় আছে, যেটি বর্ষাকালে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।'

'ঝুঁকি কমাতে পাহাড়ের ওই অংশকে কেটে ৪৫ ডিগ্রি ঢাল করা হচ্ছে। সেখানে নারিকেল গাছ লাগানো হবে,' যোগ করেন তিনি।

সেখানে কোনো নির্মাণ করা হবে না এবং পাহাড় ধস রোধে এই কাজ চলছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।'

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম এরশাদ বলেন, 'পাহাড় কাটা সাধারণ মানুষের জন্য যেমন বেআইনি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্যও বেআইনি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran’s Araghchi says US attack will have ‘everlasting consequences’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

2h ago