লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চশমাপরা হনুমানের মৃত্যু

৫ হাজার ৬৩০ দশমিক ৪০ একর আয়তনের এ সংরক্ষিত বনের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানো। বন্যপ্রাণীকে বিদ্যুতায়িত হওয়া থেকে রক্ষায় জন্য এসব লাইনে কোনো বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চশমাপরা হনুমানের প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমাপরা হনুমানের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে বনের কমলছড়া এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের পাশে মৃত অবস্থায় প্রাণীটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা।

চশমাপড়া হনুমান আইইউসিএন রেড লিস্টে 'বিপন্ন' প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত। প্রাণীটি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফশিল-১ এর আওতায় সংরক্ষিত একটি প্রাণী।

৫ হাজার ৬৩০ দশমিক ৪০ একর আয়তনের এ সংরক্ষিত বনের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বসানো। বন্যপ্রাণীদের বিদ্যুতায়িত হওয়া থেকে রক্ষায় এসব লাইনে কোনো বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বনের অভ্যন্তরে একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমাপরা হনুমানের মৃত্যু হয়। এর আগে গত বছরেই ১০ ফেব্রুয়ারি বনের পাশে দিলখোশ চা বাগান এলাকায় একটি হনুমান শাবকের মৃত্যু হয়।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল কবির চৌধুরী বলেন, 'বনের মধ্য দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে রাবার দেওয়া বিশেষ নিরাপত্তা আবরণ থাকলে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হতো না। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের উদ্যোগ প্রয়োজন।'

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, `বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তায় বৈদ্যুতিক তারে নিরাপত্তা কাভার থাকা উচিত। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে এই ব্যয়বহুল কাজ করার জন্য কোনো প্রকল্প বা বাজেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেই।'

তিনি বলেন, 'পরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বন অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী বনের অভ্যন্তরের বৈদ্যুতিক তারে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

7h ago