সারচার্জ এড়াতে জুনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করুন: পিডিবিকে আদানির সতর্কবার্তা

আদানি পাওয়ার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, এপিজেএল, বিদ্যুৎ, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ,
রয়টার্স ফাইল ফটো

ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) সতর্ক করে জানিয়েছে, তাদের ৮৪৫ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া বিল জুনের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে সারচার্জ পরিশোধ করতে হবে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে কোম্পানিটি বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার অর্ধেক সরবরাহ করছে। আজ রোববার পিডিবিকে তারা সতর্কবার্তা দেয়, যদি পিডিবি জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে নির্ধারিত তারিখে বিল পরিশোধ করতে পারে, তাহলে তারা সারচার্জ মওকুফ করবে।

আদানি পাওয়ার (ঝাড়খণ্ড) লিমিটেডের (এপিজেএল) এক চিঠিতে বলা হয়েছে, 'জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ সময়কালে চলমান বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য পিডিবি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মাসিক বিল পরিশোধ করলে এবং ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া অর্থ পরিশোধ করলে সারচার্জ মওকুফ করার প্রস্তাব করছে এপিজেএল।'

এপিজেএলের যৌথ সমন্বয় কমিটির সভাপতি এমআর কৃষ্ণ রাওয়ের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, এপিজেএল তীব্র অর্থ সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং পিডিবি যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পিডিবির সঙ্গে ৯ জানুয়ারি আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) অনুযায়ী এপ্রিল ২০২৪ থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ৮৪৫ মিলিয়ন ডলার বকেয়া অর্থ নিষ্পত্তি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, 'পিডিবি ও এপিজেএল উভয়ের স্বার্থে উপরোক্ত প্রস্তাবটি বিবেচনা করতে এবং উল্লিখিত পদ্ধতিতে বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে আমরা পিডিবিকে অনুরোধ জানাই।'

জানুয়ারির শুরুতেই অর্থ উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ৮৪৫ মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিল নিষ্পত্তির জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে আদানি পাওয়ার।

পিডিবি ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই করে, যার মাধ্যমে দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ পূরণ করার পরিকল্পনা ছিল।

আদানি পাওয়ার আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বকেয়া অর্থ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছে এবং পিডিবি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি পাঠিয়েছে।

অর্থ পরিশোধের বিষয়ে চিঠি আদান-প্রধানের মধ্যেই গত বছরের নভেম্বরে নিজেদের দুটি কয়লাচালিত ইউনিটের একটি বন্ধ করে দেয় আদানি। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন একটি ইউনিট দিয়ে প্রায় ৪০০-৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago