মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু

প্রথম দিনে দেড়শ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে এবং ডিজেল দিয়ে প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি চালানো হয়েছে।
মাতারবাড়ী
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ৬০০ মেগাওয়াট ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

তিনি জানান, প্রথম দিনে দেড়শ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে এবং ডিজেল দিয়ে প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি চালানো হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আগামীকাল রোববার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা প্ল্যান্ট চালানোর পর তা বন্ধ করা হবে। তারপর আবার তেল দিয়ে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে।'

'তেল দিয়ে ট্রায়াল রানের সাফল্যের পর কয়লা দিয়ে উৎপাদন কবে হবে, তা নিশ্চিত করতে পারব,' বলেন তিনি।

পরীক্ষামূলক উৎপাদনের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মাতারবাড়ী কয়লা চালিত পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে প্ল্যান্টটি পুরো মাত্রায় উৎপাদনে যাওয়ার কথা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯০ মেট্রিক টন কয়লা প্ল্যান্টে মজুত রয়েছে এবং প্ল্যান্টটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালানোর জন্য প্রতি ইউনিটের জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।

এদিকে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম।

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬০০ একর লবণ ক্ষেতে প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রাধিকার প্রকল্পটি নির্মিত হচ্ছে।

এর মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) দিচ্ছে ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।

Comments