বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

আশুগঞ্জে নতুন ইউনিটের ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নবনির্মিত কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
নবনির্মিত কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নবনির্মিত কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

শনিবার দিবাগত রাত থেকে এই প্ল্যান্টে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান এই প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, '১৫ নভেম্বর থেকে এখানে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছিল।'

আব্দুল মজিদের কাছ থেকে জানা যায়, এ নিয়ে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) ৬টি ইউনিট থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ১ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। নতুন এই প্ল্যান্টটি উৎপাদনে আসায় তা দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এপিএসসিএল'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এম সাজ্জাদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে আশুগঞ্জকে "পাওয়ার হাব" ঘোষণা করে। সে লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ১৮০ দশমিক ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।'

সাজ্জাদুর রহমান আরও জানান, চুক্তি অনুসারে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার কথা ছিল চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারির প্রভাবে প্রকল্পের কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। পরে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার পর কাজ পুনরায় শুরু করে চলতি বছরের ২০ জুন প্রকল্পটি থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।

Comments