ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটে ফের উৎপাদন শুরু

ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

গ্রিড বিপর্যয়ের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১১টা থেকে এই ইউনিটে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়।

আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর ছিদ্দিক।

গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটে। এতে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর ৭ দিন পর যান্ত্রিক ত্রুটির সমাধান করে গত ১০ অক্টোবর ইউনিটটি চালু করা হয়। কিন্তু চালু হওয়ার ২ দিনের মাথায় ১২ অক্টোবর এর বেয়ারিং ভেঙে আবার বন্ধ হয়ে যায় ইউনিটটি। এরপর ৯ দিন ধরে চলে বেয়ারিং মেরামতের কাজ।

প্রকৌশলী আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, ৪ অক্টোবর গ্রিড বিপর্যয়ের দিন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৫০ মেগাওয়াটের ৪ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা চালু করা সম্ভব হয়।

এই গ্রিড বিপর্যয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব এলাকার বিদ্যুৎ একসঙ্গে চলে যায়। সংস্কারকাজ শেষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পুরো লোডে ফিরতে সময় লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা।

পূর্বাঞ্চল গ্রিডে বিদ্যুৎ না থাকায় দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষকে প্রায় ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। কোনো কোনো এলাকা এর চেয়েও বেশি সময় ধরে অন্ধকারে ছিল। 

এর পরদিন ৫ অক্টোবর নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি।

ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে এই কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্টোলরুম পরিদর্শন করে। 

১৯৬৭ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে দিনে ১ হাজার ৩১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago