৫৫ মেগাওয়াটের বায়ুনির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে মোংলায়

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোংলায় ৫৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মোংলা গ্রিন পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। আগামী ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ রোববার রাতে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, নির্মিত হওয়ার পরবর্তী ২০ বছর সেখান থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বিপিডিবি। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে শূন্য দশমিক ১৩২০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার এক্সচেঞ্জ হিসাবে সাড়ে ১২ টাকা)।

আড়াই মেগাওয়াট করে উৎপাদন ক্ষমতার ২২টি টার্বাইন বসবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে। নির্মাণ করবে চীনের ইনভিশন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশের এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও হংকংয়ে নিবন্ধিত কোম্পানি ইনভিশন রিনিউয়েবল এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'নবায়যোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর দিকে ঝুঁকছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি থেকে উৎপাদন করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।'

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'মোংলায় স্থাপিত হতে যাওয়া ৫৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।'

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বায়ু প্রবাহের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে বায়ু থেকে মাত্র ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়াও, ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান।

বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

বিপিডিবির পক্ষে পরিচালক গোলাম রব্বানী এবং মোংলা গ্রিন পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জু ওয়েনতাও চুক্তিতে সই করেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago