সাগর বিক্ষুব্ধ, সেন্টমার্টিন থেকে আর টেকনাফে যাওয়ার ‍সুযোগ নেই

কক্সবাজার শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ছবি: কক্সবাজারের বাসিন্দা তরিকুর রহমানের সৌজন্যে

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সেন্টমার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে কক্সবাজারের আকাশ। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। মূল ঝড়ের পাশে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এটি বাড়ছে।'

'এই গতিতে যখন ঝড়টি ঘুরতে থাকে তখন কিছু মেঘ বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে আসে। সেই মেঘ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়টি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উৎপত্তিস্থল থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে,' বলেন তিনি।

বজলুর রশিদ বলেন, 'আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।'

ঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ থাকায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি দেখাতে বলা হয়েছে।

সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় সেন্টমার্টিন থেকে কাউকে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কাউকে সেন্টমার্টিনের বাইরে নিয়ে আসিনি। যারা টেকনাফে এসেছেন, তারা নিজ উদ্যোগে এসেছেন। বিকেল ৪টার মধ্যে সেন্টমার্টিনের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা সবাইকে নিয়ে আসব।'

কামরুজ্জামান আরও বলেন, 'সেন্টমার্টিনে প্রায় ৮ হাজার মানুষ বসবাস করেন।'

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে এসেছেন মাহিম চৌধুরী। তার ধারণা সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মাহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার পরিবারের অনেক সদস্য সেন্টমার্টিনে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানতে পেরেছি।'

সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, 'আমরা বাড়ি বড়ি গিয়ে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, অনেকে শুনছে, কেউ কেউ শুনছে না।'

Comments

The Daily Star  | English

‘No room for politics under AL name, ideology’

Nahid Islam, adviser to the interim government, spoke with The Daily Star on the nation's key challenges and the way forward.

13h ago