ধোবাউড়ায় রাস্তা ভেঙে বাড়িঘরে পানি, বন্যার শঙ্কা

টানা ২২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় তলিয়ে গেছে আমন ধানের জমি। ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ধোবাউড়ার কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

টানা ২২ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় তলিয়ে গেছে আমন ধানের জমি। ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

ইতোমধ্যে নেতাই নদীর পানি গ্রামে প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ধোবাউড়ায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় কিছুটা কমে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। 

ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আখলাক উল জামিল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নেতাই নদীর পাড়ের গ্রামীণ রাস্তাগুলো বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে যাওয়ায় গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।' 

টানা বর্ষণে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোঁষগাও, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

উজান পানি নেমে আসায় ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে অনেক পুকুর এবং মাটির রাস্তা। 

ঘোঁষগাও ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নেতাই নদীর পানি আশেপাশের বাড়িগুলোতে প্রবেশ করেছে। ওইসব বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ।'

স্থানীয়দের অভিযোগ, নেতাই নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভেঙে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। 

দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রনসিংহপুর, পঞ্চনন্দপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।'

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন, 'কিছু কিছু জায়গায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তবে উজান থেকে ঢলের পানি এলে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক।'

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে, যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে তাদের যেন স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। আমরা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।'

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, 'ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়ছে। বৃষ্টি কমে গেলে দুইদিনের মধ্যে পানি কমে আসবে বলে আশা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

8h ago