কাপ্তাই লেকের পানি ছাড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে যা বললেন নদী গবেষক
কাপ্তাই বাঁধের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় আজ শনিবার রাত ১০টায় বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক শিক্ষক ও কর্ণফুলী নদী গবেষক ড. ইদ্রিস আলী।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'কাপ্তাই বাঁধ থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশিত হবে, এতে হালদা নদীসহ কর্ণফুলীতে জোয়ারের স্তর বৃদ্ধি পাবে। কর্ণফুলী নদীর পার্শ্ববর্তী উপজেলার কৃষি জমিতে জোয়ারের পানি ঢুকতে পারে।'
কাপ্তাই বাঁধ রক্ষার্থে এমনটি করা হচ্ছে। লেকের পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ আবার গেট বন্ধ করে দেবে বলেও জানান তিনি।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের এক জরুরি বার্তায় জানান, আজ দুপুর ৩টায় কাপ্তাই লেকের পানি ১০৭ দশমিক ৬৬ ফুট এমএসএল ছিল। কাপ্তাই লেকের উজান এবং ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ রাত ১০টায় লেকের ১৬টি গেট (স্পিলওয়ে) ছয় ইঞ্চি পরিমাণ খুলে দেওয়া হবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে নয় হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হবে।
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রাখার জন্য এমনিতেই ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
Comments