টিলাধস: নিখোঁজ স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

টিলাধসে মারা যান আগা করিম উদ্দিন, তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি ও ছেলে নাফজি তানিম। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায় টিলাধসে চাপা তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য জানান, এ ঘটনায় মারা গেছেন—আগা করিম উদ্দিন (৩১), তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি (২৫) ও ছেলে নাফজি তানিম (২)।

শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা সাজনু লস্কর জানান, আজ ভোর ৬টার দিকে টিলাধসের ঘটনা ঘটে। টিলার পাদদেশে আগা আব্দুল করিম ও তার ভাই আগা আব্দুর রহিম পৃথক দুটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। টিলাধসে ঘরের নিচে দুই পরিবারের ছয় জন আটকা পড়েন। সকালে স্থানীয়রা আব্দুর রহিমের পরিবারকে উদ্ধার করলেও মাটির নিচে চাপা পড়ে যান আব্দুর রহমান ও তার পরিবার।

ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, 'সিলেটে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হয়। পাহাড় কাটার কৌশল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বসতি বানানো হয়। ঝুঁকি নিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ বাস করেন এসব পাহাড়-টিলার আশপাশে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড় বা টিলাধসে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।'

তিনি বলেন, '২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর সিলেট সদর উপজেলায় টিলাধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের ৬ জুন জৈন্তাপুর উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মৃত্যু হয়। পাহাড় বা টিলাধসে মানুষের মৃত্যু হলে প্রশাসন কিছুদিনের জন্য তৎপর হয়। তারপর আবার চুপ হয়ে যায়।'

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago