‘দুর্যোগ না ঘটলে ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা-উদ্যোগ থেমে যায়’

‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’ অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কোনো দুর্যোগ ঘটার পর সেটা নিয়ে বড় আলোচনা এবং উদ্যোগ দেখা যায়। সেটাও সপ্তাহ দুয়েকের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য আগে থেকে প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

আজ শুক্রবার ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (রাজউক অংশ) উদ্যোগে ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

আগামীকাল বিকেল ৫টায় সেমিনারটি শেষ হবে।

বক্তারা বলেন, দুর্যোগ প্রতিরোধে পরিকল্পনা করে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ দুর্যোগ ঘটার আগে করতে পারলে দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি ১০ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীও একই ধরণের মন্তব্য করে বলেছেন, 'সম্প্রতি বড় কোনো ভূমিকম্পের ঘটনার অনুপস্থিতির কারণে শহরে ভূমিকম্পের ঝুঁকি এবং এই ধরণের ঘটনার প্রভাব প্রশমিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৌশলগুলোর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবনের ঘাটতি রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ ও নৈতিকতার অভাবজনিত কারণে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা শহর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত বেদখল হয়ে যাচ্ছে।'

সেমিনারের গেস্ট অব অনার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, '১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে।'

সেমিনারে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক ড. আব্দুল লতিফ হেলালী মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, 'গত ১০ বছরে আলোচ্য প্রকল্পের অধীনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য তৈরি হয়েছে। এখন এটিকে টেকসইভাবে প্রয়োগের জন্য একটি বিশেষায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা প্রয়োজন।'

তিনি বলেন, 'আমরা সেই পথে হাঁটছি। বাংলাদেশের কোনো সংস্থায় ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করার আধুনিক সামর্থ্য নেই। ভূমিকম্প হওয়ার পর সামর্থ্য অর্জন করলে লাভ হবে না। তাই আগে থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago