দিনাজপুরে ১৫ মিনিটের ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, উপড়ে পড়েছে গাছপালা
দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় গতরাতে আকস্মিক ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও মারাত্মক বিঘ্নিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
গতরাত ১টা ১০ মিনিটে ঝড় আঘাত হানার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জরুরি সেবা, বিশেষ করে শহরের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকায় ১৫ মিনিটের ঝড় আঘাত হানে। এসময় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। এতে উপড়ে পড়ে শত শত গাছপালা, অনেক বাড়ির টিনের ছাউনি।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে রাজবাড়ী, গুঞ্জাবাড়ী ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের আশপাশে অন্তত অর্ধশতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন দোকানের সাইনবোর্ডও উড়ে গেছে।
বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে সড়কে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তার ছিঁড়ে গেছে।
দিনাজপুর ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, পুরো হাসপাতাল অন্ধকারে ঢাকা। নিজস্ব জেনারেটর না থাকায় হাসপাতালের সব সেবা বন্ধ।
একই অবস্থা দিনাজপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালেও। তবে কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক বৈদ্যুতিক জেনারেটর দিয়ে তাদের সেবা চালু রেখেছে।
ব্যাটারি চার্জ করতে না পারায় শহরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকও কম চলতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোসাদ্দেক কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে কতক্ষণ সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।'
শহরে মোট গ্রাহক চার লাখ। দিনাজপুরের সিভিল সার্জন বোরহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহরে সরকারি-বেসরকারি ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল মিলিয়ে ৫০টি হাসপাতাল রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।'
Comments