ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান। ছবি: টিভি থেকে নেওয়া

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান জানিয়েছেন।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা গত ৪-৫ দিন কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। তারপরও আমরা ১০ জনকে হারিয়েছি।'

তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। যার ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পানি ঢুকে গেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।'

'আজ সকাল থেকে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি' জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, 'প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জেলাগুলো হলো-খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর।'

'এছাড়া ১০৭টি উপজেলা এবং ৯১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩ বাড়ি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ ঘরবাড়ি,' বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'উপকূলীয় এলাকায় মোট ৯ হাজার ৪২৪ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।'  

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran’s Araghchi says US attack will have ‘everlasting consequences’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

2h ago