ঘূর্ণিঝড় মিধিলি

৬ নম্বর বিপদ সংকেত সত্ত্বেও কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। ছবি; সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুরে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম করেছে। এই ঝড়ের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই কক্সবাজারে বিক্ষিপ্ত ঝড়ো বাতাস বইছে এবং বৃষ্টি হচ্ছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি কক্সবাজার থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। 

টুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডকর্মীরা শত চেষ্টা করেও তাদেরকে নিবৃত্ত করতে পারছেন না।

বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। ছবি; সংগৃহীত
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। ছবি; সংগৃহীত

অনেক উৎসাহী পর্যটক উত্তাল সমুদ্রে নেমে যাচ্ছেন।

টুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা সব্যসাচী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা বারবার পর্যটকদের সতর্ক করে বলছেন, 'ছয় নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। আপনারা এখন দয়া করে সমুদ্রে নামবেন না।'

কিন্তু পর্যটকরা টুরিস্ট পুলিশের কথা শুনছেন না। তারা সমুদ্রে নেমে পড়ছেন।

'আমরা এখানে টুরিস্টদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি', যোগ করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ থেকে আসা দুই পর্যটক মানিক এবং বিপ্লব জানান, তারা সমুদ্র দেখতে অনেক কষ্ট করে কক্সবাজারে এসেছেন। এ কারণে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা সমুদ্রে গোসল করতে নেমেছেন।

ঢাকা থেকে আগত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক পর্যটক জানান, দুর্যোগের কারণে তাদের সেন্ট মার্টিন যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে। আজ রাতেই তারা ঢাকায় ফিরে যাবেন। এ কারণে সমুদ্রে নেমেছেন।

সি সেফ লাইভ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, সকাল থেকে পর্যটকরা সমুদ্রে নামলেও দুপুর দুইটার পর থেকে তাদেরকে আর সমুদ্রে নামতে দেয়া হচ্ছে না।

'তবে পর্যটকরা সমুদ্রের খুব কাছে এসে ছবি তুলছেন এবং ভিডিও ধারণ করছেন। এটা থেকে তাদেরকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। এ মুহূর্তে সাগরে উত্তাল ঝড়ো বাতাস বইছে। কিন্তু কোনোভাবেই সমুদ্রের কাছে যাওয়া থেকে পর্যটকদের বিরত রাখা যাচ্ছে না', যোগ করেন সিফাত।

বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। ছবি; সংগৃহীত
বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। ছবি; সংগৃহীত

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন দুপুর ২টায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ দুপুর ১২টা থেকে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বাড়ছে। এখন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে এটি এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শেষ করবে।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি 'অতটা শক্তিশালী নয়' উল্লেখ করে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় এই আবহাওয়াবিদ বলেছিলেন, আজ রাতে সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। আগামীকাল থেকে এই বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে। তখন শুধু উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় কাল দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টিপাত কমে যাবে। তবে আকাশ মেঘলা থাকবে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

Comments

The Daily Star  | English

Climate finance: $250b a year needed

COP29 draft deal says rich nations should pay the amount to fight climate change

5m ago