বান্দরবান

সাঙ্গুতে বিলীন ৮ বাড়ি, ঝুঁকিতে আরও শতাধিক

সাঙ্গু নদীর পানি কমতে থাকায় ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে হয়েছে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর। ছবি: মং সিং হাই মারমা/স্টার

টানা ৮ দিন ভারী বর্ষণে বান্দরবান জেলা শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন সম্পূর্ণ বা আংশিক ডুবে গেছে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে বান্দরবানের সঙ্গে সারা বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গত ৯ আগস্ট থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় এবং সাঙ্গু নদী দিয়ে পানি নামতে থাকায় বান্দরবানে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।

বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে সাঙ্গু নদীর তীর ভাঙ্গন। এ পর্যন্ত জেলা শহরে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৮টি বাড়ি সাঙ্গু নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাঙ্গু নদী তীরবর্তী এলাকায় কয়েকশ বাড়ি পানিতে অর্ধনিমজ্জিত। জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোতে নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় শতাধিক বাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, গত ১০ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার মধ্যমপাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গনে দোতলা বাড়িসহ মোট ৮টি বাড়ি সাঙ্গুতে বিলীন হয়ে যায়।

ওই এলাকাটিকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বান্দরবান পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, 'বন্যা পরবর্তীতে মধ্যমপাড়া সাঙ্গু নদীর তীর এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার বিষয়ে ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।'

বান্দরবান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সৌরভ দাশ শেখর বলেন, 'ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ওই এলাকাকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বসবাসরত সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।'

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে উজানি পাড়া, মধ্যম পাড়া, মারমা বাজার, বরিশাইল্লা পাড়া, সাঙ্গু নদীর পুরাতন ব্রিজ, ইসলামপুর, মকছি খালের উভয় পাশের এলাকা।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় পাহাড় ধসে ১০ জন নিহত হয়েছেন, ১৫ হাজার ৮০০ পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ৩ হাজার ৫৭৮টি পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago