ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

পটুয়াখালীতে প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাসে ঘরের পাশের গাছ উপড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: সোহরাব হোসেন/পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ভারী বর্ষণ ও নদীর জোয়ারের পানিতে জেলার অর্ধশতাধিক চরসহ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালী শহরের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা আব্দুস সালাম মৃধা জানান, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাসে তার ঘরের পাশের গাছ উপড়ে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী লাউকাঠী নদীর জোয়ারের পানি ও ভারী বর্ষণে বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।

তার প্রতিবেশী বিউটি বেগম জানান, রাতে ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। ৩ সন্তানসহ ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে রাত কাটাতে হয়েছে। চুলোয় পানি ওঠায় কাল রান্না করতে পারেননি। আজ দুপুর থেকে রান্না শুরু করেছেন।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড়ে তার ইউনিয়নে ১২টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় খাদ্য ও নগদ অর্থসহায়তা প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৮টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৮০টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের কর্মকর্তা সুমন কুমার দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। পূর্ণাঙ্গ হিসাব পেতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দু'একদিনের মধ্যে জানা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago