সিরাজগঞ্জে যমুনায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি: স্টার

উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় যখন কমছে বন্যার পানি তখন সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। পানি বৃদ্ধি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই এবং নতুন করে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার আশঙ্কা না করলেও ইতোমধ্যে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আগামী কয়েকদিন নদীতে পানি বাড়লে বাড়ি ঘরে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।

ছবি: স্টার

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাজিপুর পয়েন্টে ১৪ দশমিক ৫৭ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপদসীমার ৬৮ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৫৬ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপদ সীমার ৭৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি কাজিপুর পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার ও হার্ড পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, উজানের ঢলে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধি আরও ৩-৪ দিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি। পানি বৃদ্ধি হতে থাকলেও বিপদসীমা অতিক্রম করে বন্যার কোন আশঙ্কা নেই।'

এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে, নদীপাড়ের নিচু এলাকাগুলো ইতোমধ্যে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পরারও আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকলা ইউনিয়নের বন্নির চর গ্রামের আফসার ভুঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ইতোমধ্যে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে, এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আবারো ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকতে পারে।

বন্যা কবলিত হয়ে দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া থাকার পর ঘরে ফিরলেও নতুন করে বন্যার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ বলে জানান তিনি।

এদিকে বেরামারি গ্রামের নাসির ভুঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রথম দফার বন্যায় তার প্রায় চার বিঘা জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে যায়। দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে পাট কাটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলেও হঠাৎ করে আবার পানি বাড়ায় পাটের জমি তলিয়ে গেছে। পানির চাপে ভেঙ্গে পড়েছে সমস্ত পাট গাছ। দুই দফা বন্যায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদী পাড়ের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। তবে পানি বৃদ্ধি বেশি দিন থাকবে না ফলে বড় ধরনের কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

3h ago