‘কাজলরেখা’ দেখে ইউরোপের দর্শকরা আপ্লুত: গিয়াস উদ্দিন সেলিম

গিয়াস উদ্দিন সেলিম
গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

'মনপুরা'খ্যাত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমা 'কাজলরেখা' ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার এই সিনেমা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি।

উৎসবে 'কাজলরেখা'র পাঁচটি শো হচ্ছে।

নেদারল্যান্ডস থেকে মুঠোফোনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, খুব ভালো লাগছে। 'কাজলরেখা' আমাদের দেশের গল্প। দেশের দর্শকরা খুব পছন্দ করেছেন। এবার সেই সিনেমা নিয়ে রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসেছি। কাজেই আনন্দটা অনেক বেশি।

'আমার জন্য সৌভাগ্য এজন্য যে এমন একটি উৎসবে "কাজলরেখা" সিলেক্ট হয়েছে। 'কাজল রেখা' দেখে ইউরোপের দর্শকরা আপ্লুত। এজন্য আমি খুব খুশি', বলেন তিনি।

'কাজলরেখা' নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নেদারল্যান্ডস গিয়েছেন ১ ফেব্রুয়ারি। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন সেখানে।

৩০ জানুয়ারি সাংবাদিক ও সিনেমা শিল্পের মানুষদের নিয়ে প্রথম একটি শো হয়েছে।

৩ ফেব্রুয়ারি ইউরোপের দর্শকদের জন্য একটি শো হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি শো হয়েছে। আগামীকালও একটি শো আছে।

সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি শো হবে 'কাজলরেখা' সিনেমাটির।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, এখানকার বিদেশি দর্শকরা এবং বাঙালি কমিউনিটির মানুষেরা অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। তারা সিনেমাটি উপভোগ করছে। এখানেই আমার ভালো লাগা। এখানেই আমার প্রাপ্তি। বিষয়টি ভাবতেই ভালো লাগছে।

তিনি বলেন, ইউরোপের দর্শকরা যখন সিনেমার প্রশংসা করছেন, এটা দেখে এখানে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির মানুষরাও খুশি। তারা বুঝতে পারছেন ভালো একটি কাজ নিয়ে এসেছি।

এই নির্মাতা আরও বলেন, এখানকার বাঙালি কমিউনিটির মানুষেরা বলছেন তাদেরকে প্রাউড করতে পেরেছি। ওরা এজন্য খুশি। ওদের বন্ধুদের মুখ উজ্জ্বল করেছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'কাজলরেখা' নির্বাচিত হওয়ার পর এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করেছে। পরিচালক হিসেবে শ্রমটা কাজে দিয়েছে।

সবশেষে তিনি বলেন, 'কাজলরেখা' সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিক এটাই চাই। দেশে প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি। এবার দেশের বাইরে এসেও পাচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English
rising misogyny in Bangladesh

The interim government’s silence over misogyny is tragic

There is chaos and dissent in every corner and no one seems to have a grip on anything.

8h ago