‘কাজল রেখা’ হয়ে আসছেন মন্দিরা

মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মন্দিরা চক্রবর্তী অভিনীত প্রথম সিনেমা 'কাজল রেখা'। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

এছাড়া সম্প্রতি 'নীলচক্র' নামের নতুন একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ মন্দিরা। সিনেমাটিতে আরিফিন শুভর বিপরীতে অভিনয় করবেন তিনি।

বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাওয়া নতুন প্রজন্মের নায়িকা মন্দিরা সম্প্রতি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক থেকে

গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'কাজল রেখা' সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, 'কাজল রেখা' হয়ে ওঠা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

মন্দিরা: শুরুতে ভেবেছিলাম খুব কষ্ট হবে। অনেক কঠিন হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যাবার পর এবং পুরোপুরি শুটিং শুরু করার পর কঠিন মনে হয়নি। কেননা, ব্যক্তিগতভাবে আমি যেরকম, কাজল রেখাকে তেমনই মনে হয়েছে। সেজন্য শুটিং করতে গিয়ে আর কঠিন মনে হয়নি। অনেক ভালোলাগা নিয়েই কাজটি করেছি। 'কাজল রেখা' হয়ে ওঠবার জন্য শতভাগ চেষ্টা করেছি। আশা করছি 'কাজল রেখা' হয়ে উঠতে পেরেছি।

'কাজল রেখা' নামটির সঙ্গে কম-বেশি সবাই পরিচিত, কতটা আশাবাদী আপনি?

মন্দিরা: ভীষণ রকমের আশাবাদী আমি 'কাজল রেখা' নিয়ে। 'কাজল রেখা'র গল্প সবার জানা। চেনা গল্প। এদেশের দর্শকরা 'কাজল রেখা' দেখবেন, আমার বিশ্বাস। 'কাজল রেখা' সব দর্শকদের সিনেমা হোক এটাই চাই। এছাড়া ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা হিসেবে প্রত্যাশা অনেক বেশি।

মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক থেকে

রূপালি পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্নটা কবে থেকে দেখতে শুরু করেন?

মন্দিরা: সত্যি কথা বলতে সিনেমার নায়িকা হবো এমন স্বপ্ন শুরুতে ছিল না। শুরুতে নাটক ও মডেলিং করেছি। তারপর 'কাজল রেখা' করলাম। এখন শুধু সিনেমাই করতে চাই। সিনেমায় মনোযোগ দিতে চাই। আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল সিনেমার নায়িকা হই। মায়ের পরিবারেরও চাওয়া ছিল আমি যেন বড় পর্দায় কাজ করি। তাদের চাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে। আশা করছি নতুন বছরের শুরুতেই 'কাজল রেখা' মুক্তি পাবে।

'কাজল রেখা'র পরিচালকের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হলো?

মন্দিরা: কয়েক বছর আগে গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাইয়ের পরিচালনায় একটি নাটক করেছিলাম। তিন পর্বের। এছাড়া 'স্বপ্নজাল' সিনেমার সময়ও আমাকে অফার করা হয়েছিল। কিন্তু তখন আমার পরীক্ষা ছিল, তাই করা হয়নি। এভাবেই পরিচয়। তারপর একসময় কাজল রেখার জন্য অফার করেন। আমি কাজটি করি। পরিচালক সেলিম ভাই অনেক সহযোগিতা করেছেন। সহশিল্পীরাও খুব সহযোগিতা করেছেন।

মন্দিরা চক্রবর্তী। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

প্রথমবার সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কতটা নার্ভাস ছিলেন?

মন্দিরা: মডেলিং ও নাটক করার সময় নার্ভাস ছিলাম না। কিন্তু বড় পর্দার জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু পরিচালক সহযোগিতা করার পর ঠিক হয়ে যায়। সহশিল্পীরা সহযোগিতা করার পর নার্ভাসনেস চলে যায়।

সিনেমা নিয়ে কী স্বপ্ন?

মন্দিরা: অনেক স্বপ্ন সিনেমা নিয়ে। বড় পর্দা আসলেই বড় পর্দা। দর্শকরা টিকিট কেটে হলে যান তারপর সিনেমা দেখেন। বড় পর্দার আবেদনই বড়। 'কাজল রেখা' দিয়ে পথচলা শুরু হলো। এভাবেই ভালো ভালো গল্পের সিনেমায় নিজেকে দেখতে চাই।

 

Comments

The Daily Star  | English

MRT-1 unlikely to be ready before 2030

Five years have passed since the country’s first underground metro rail project was approved, but construction of the key structure has not yet begun.

8h ago