পূর্ণিমা আমার ক্যারিয়ারের সেরা বন্ধু: ফেরদৌস
হঠাৎ বৃষ্টিখ্যাত নায়ক ফেরদৌস। বর্তমানে সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার ৩টি সিনেমা। শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন ফেরদৌস।
আপনার অভিনীত '১৯৭১ সেইসব দিন' সিনেমা মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে-
এটি মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা, আগামী আগস্টে মুক্তি পাচ্ছে। তখন ঢাকা শহরের অবস্থা কেমন ছিল তার চিত্র ফুটে উঠেছে। অসাধারণ একটি কাজ হয়েছে। হৃদি হক দুর্দান্ত পরিচালনা করেছেন। গল্পের প্রয়োজনে যেখানে যা দরকার তাই করেছেন। অনেক নামি শিল্পীদের তিনি এক ফ্রেমেবন্দি করেছেন। গানগুলোও ভালো হয়েছে। ১৯৭১ সেইসব দিন সিনেমায় আমি অভিনয় করেছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের চরিত্রে। আমার নাম সঞ্জু, আমরা ৩ ভাই। পুরো পরিবার ও আশপাশের সবাই দেশের জন্য যুদ্ধ করি। যেকোনো দর্শককে গল্পটি ভাবাবে ও টানবে।
আরেকটি সিনেমা 'মাইক' কি সেন্সর পেয়েছে?
মাইক সিনেমাটি দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেননা, এটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত হয়েছে। দেশপ্রেম, বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে মাইক সিনেমাটি দেখার পর। এমন একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে নিজের কাছেই ভালো লেগেছে।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে 'দামপাড়া' সিনেমায় অভিনয় করেছেন...
দামপাড়া একটি সত্য ঘটনার সিনেমা। পুলিশের হিরোইজমের সিনেমা। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের পুলিশের এসপি ছিলেন শামসুল আলম। পাকিস্তানি মিলিটারিদের ভয় না করে তিনি অস্ত্র ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারাদেশে, যুদ্ধ করার জন্য। এটা জানার পর পাকিস্তানি মিলিটারিরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তার বীরত্বের গল্প দামপাড়া। শুদ্ধমান চৈতন্য দামপাড়া পরিচালনা করেছেন।
আপনার সমসাময়িকরা যেখানে সিনেমা থেকে দূরে, সেখানে আপনি অভিনয় নিয়ে অনেক- এর কারণ কী বলে মনে করেন?
আমি সিনেমা ভালোবাসি। সিনেমা আমাকে ফেরদৌস বানিয়েছে। দেশের মানুষের যত ভালোবাসা পাচ্ছি, যত পরিচিতি এসেছে- এজন্য সিনেমার শিল্পী পরিচয় বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি সময়ের সঙ্গে চলতে চাই, সেভাবেই চলছি। আমি অভিনয়ের সঙ্গে থাকতে চাই। সেজন্য বয়সের সঙ্গে মিলিয়ে এখনো সিনেমায় সরব আছি। পছন্দের চরিত্র পাচ্ছি, এভাবেই অভিনয় আরও বহুদিন অভিনয় করে যেতে চাই। তাই আমার হাতে কাজ আছে।
রোমান্টিক, সামাজিক সব ধরণের সিনেমায় অভিনয় করেছেন, ফোক ঘরানার কোনো কাজ করেছেন?
করেছি, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালনায় সুজন মাঝি নামে একটি সিনেমা করেছি। উনি যে ধারার সিনেমা বানান, এটিও সেরকমই। অনেকদিন পর এমর একটি সিনেমায় অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি। এটিও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সুজন মাঝি সিনেমায় আমি নৌকার মাঝি। দর্শকরা আমাকে মাঝির চরিত্রে দেখবেন। অনেকদিন পর এমন সিনেমা করেছি, যা সবাইকে ছুঁয়ে যাবে।
নায়িকা পূর্ণিমার সঙ্গে স্টেজে ও টেলিভিশনে উপস্থাপনা এবং পর্দায় জুটি হিসেবে এখনো সরব- দুজনের বন্ধুত্বের গল্প শুনতে চাই...
আমাদের দুজনের সিনেমার শুরুটা একই বছর। সম্পর্কের গভীরতা তৈরি হয় মূলত কাজের মাধ্যমে। তার সঙ্গে স্টেজে অনেকবার উপস্থাপনা করেছি। টেলিভিশনেও করেছি উপস্থাপনা। এছাড়া সিনেমাতো আছেই। পূর্ণিমা আমার ভালো বন্ধু। আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বন্ধু পূর্ণিমা। তার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মিত কাজ করছি। এজন্য যোগাযোগও বেশি। এছাড়া মৌসুমী, শাবনূর পপিও আমার ভালো বন্ধু।
দীর্ঘ দিন পর গ্রামে গিয়েছিলেন, সেখানকার অনুভূতি জানতে চাই...
কুমিল্লার কাপাশকান্দি আমার গ্রাম। আব্বা জীবদ্দশায় কাপাশকান্দি মডেল একাডেমি নামে একটি স্কুল করে গেছেন। আমি ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের একটি বিষয় ছিল। সেজন্য দীর্ঘ দিন পর গ্রামে গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে গ্রামে গিয়ে ভালো লেগেছে। ওই ভালো লাগার অনুভূতি বর্ণনা করা কঠিন। মুগ্ধতা ও ভালোবাসা নিয়ে গ্রাম থেকে ফিরেছি।
Comments