২৫ বছরের ক্যারিয়ারে সবই অর্জন: দীপা খন্দকার
জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী দীপা খন্দকারের ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। কাকতাড়ুয়া নাটক দিয়ে শুরু তার অভিনয় জীবনের।
অসংখ্য টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন দীপা খন্দকার। কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসিত হয়েছেন।
নায়ক আফজাল হোসেনের বিপরীতে একটি নতুন সিনেমায় অভিনয় করেছেন সম্প্রতি। ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন দীপা খন্দকার।
দেখতে দেখতে অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। দীর্ঘ এই পথচলায় অর্জন কতটুকু?
২৫ বছরের ক্যারিয়ারে সবই অর্জন। একটি জায়গায় ভালোভাবে, সম্মানের সঙ্গে এবং মানুষের ভালোবাসা নিয়ে পার করে দিলাম। এমন না যে কাজ খুব কম করেছি? এমন না যে নিয়মিত অভিনয় করিনি? শুরু থেকে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছি।
কেউ কেউ বলেন টেলিভিশন মিডিয়া ইরেজ মিডিয়া। আবার কেউ কেউ বলেন এটা ক্ষণিকের মিডিয়া। আমার কাছে তা মনে হয় না। আমার কাছে নিয়মিত অভিনয় করে যাওয়াই বড় ব্যাপার। এটাই বড় পাওয়া এবং অর্জন। মানুষ আমাকে চেনে, ভালোবাসে, সম্মান করে, এগুলোতো শিল্পী জীবনের অর্জন।
তাহলে কোনো না পাওয়া নেই?
শিল্পী জীবনে পাওয়া না পাওয়া তো থাকবেই। প্রতিটি মানুষের জীবনেই থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে রকম চরিত্র চেয়েছি তা হয়ত সবসময় পাইনি। আবার কিছু কিছু পেয়েছি। এ রকম কিছু না পাওয়া তো থাকেই। যোগ-বিয়োগ করলে প্রাপ্তির সংখ্যাই বেশি।
এত বছরের ক্যারিয়ারে কখনো নাটক পরিচালনা করেছেন?
পরিচালনার ইচ্ছে ওইভাবে হয়নি। খুব বেশি চাওয়া নেই। একটিই চাওয়া অভিনয় করে যাওয়া। একশটা পরিচয় চাইনি, শুধু অভিনেত্রী পরিচয় চেয়েছি। অনেকগুলো পরিচয়ের জন্য আমি আকুল কিংবা ব্যাকুল নই। সবসময় চেয়েছি অভিনয়টা ভালোমতো করতে, অভিনয় নিয়ে মানুষের কাছাকাছি থাকতে। একটি পরিচয়ই একজন মানুষের জন্য অনেক।
তারপরও আগামীতে পরিচালনা করব না, এমন নয়। একটি বা দুটি নাটক পরিচালনা করতে পারি শখের বশে। শর্টফিল্ম পরিচালনা করতে পারি। অনুদানের সিনেমা যদি হয়, বাচ্চাদের জন্য কিছু করতে পারি। কিন্তু সবার আগে অভিনয়।
২৫ বছর আগে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছিল?
ক্যারিয়ারের জন্য কখনোই আমাকে সংগ্রাম করতে হয়নি। প্রথম অভিনীত নাটকের নাম কাকতাড়ুয়া। কাজী শাহীদুল ইসলামের। চাওয়ার আগেই বেশি পেয়েছি। যে সময়ে জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, টনি ডায়েস, মাহফুজ আহমেদ, আজিজুল হাকিম বড় তারকা, সেই সময়ে তাদের সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। হুমায়ুন ফরিদীর বিপরীতেও অভিনয় করেছি।
দীর্ঘ পথচলা নিয়ে কতটা সুখী?
ক্যারিয়ার নিয়ে আমি সুখী, কোনো আফসোস নেই। সুন্দরভাবে ফ্যামিলি ঠিক রেখে অভিনয় করে আসছি। এমন না যে সংসারে সময় দিচ্ছি না। সংসার, সন্তান সবকিছু করেই আমি ভালোভাবে অভিনয়ও করছি। এটা সবার ভালোবাসা এবং সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ।
যে জীবন পার করে এলেন, তা কেমন ছিল?
একটা আনন্দময় জীবন পার করলাম এটাই বড় কথা। জীবন এমনই হওয়া উচিত। সুখ-দুঃখ থাকবেই, কিন্তু আনন্দও থাকবে।
চিরসবুজ নায়ক আফজাল হোসেনের সঙ্গে একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন। সেটার কাজ কতদূর?
সিনেমাটির নাম অপরাজেয়। পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি। শুটিং শেষ হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
Comments