‘ওতো অভিনয় বোঝে না’ এসব অপমানের কথাও মনে পড়েছিল: বাঁধন
'রেহানা মরিয়ম নূর' সিনেমায় অভিনয় করে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে একান্ত অনুভূতি ও সহকর্মীদের অপমানের দিনগুলোর কথা দ্য ডেইলি স্টারের কাছে বলেছেন তিনি।
পুরস্কারের পাওয়ার দিন সকাল থেকে কী মনে হচ্ছিল?
সেদিন সকাল থেকে খুব অস্থির লাগছিল। অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। পুরস্কারের সঙ্গে যারা জড়িত তারা ফোন দিচ্ছিলেন, যেন দুপুর ১টার টার মধ্যে উপস্থিত থাকি। একটু নার্ভাস লাগছিল অনুষ্ঠানের দিন। কেন এমন হচ্ছিল তা বলতে পারব না।
পুরস্কার নেওয়ার দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো কথা হয়েছিল?
অনুষ্ঠানে খুব বেশি কথা বলার সময় পাওয়া যায় না। পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে সবাই একসঙ্গে ছবি তোলার সময় কিছুটা সময় পেয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকে 'রেহানা মরিয়ম নূর' দেখার অনুরোধ করেছি। তাকে বলেছি আপনি হয়তো এই সিনেমা নিয়ে খুব বেশি জানেন না। জানলে আনন্দিত হতাম। তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, প্রধানমন্ত্রীকে সিনেমাটা দেখানোর ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি দেখতে চেয়েছেন আমাদের সিনেমাটা। এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার।
পুরস্কার পাওয়ার পর আপনার মেয়ে সায়রা কিছু বলেছিল?
আমার মেয়ে খুবই আনন্দিত। তার মাকে সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমার মেয়ের বয়স এখন ১২ বছর। এখনকার সব কথা মনে রাখতে পারবে। আমার মেয়ে ঠিকই জানে কারা তাকে ভালোবাসে, কারা পছন্দ করে না। আমাকে যারা পছন্দ করে না আমি তাদের সঙ্গেও মিশি, এটাও আমার মেয়ে বুঝছে। আমার মেয়ে তো আমাদের মতো করে বেড়ে উঠছে না। অনেক স্ট্রাগল করতে হচ্ছে তাকে।
'রেহানা মরিয়ম নূর' সিনেমার চরিত্রটা কী এখনো নাড়া দেয়?
কয়েকদিন আগে একটি প্রদর্শনীতে সিনেমার রেহানার প্রতিটি নিঃশ্বাসের সঙ্গে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলাম। প্রতিটি দৃশ্য নিজের ভেতর থেকে কাজ করা। সিনেমাটি দেখলে এখনো একইরকম ইমোশনাল হয়ে যাই।
পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আনন্দিত হয়েছেন, এই স্বীকৃতির দিনে কী পেছনের কোনো অপমানের কথা মনে পড়েছে?
আমার অনেক সহকর্মী, পরিচালক, প্রযোজকসহ অনেকেই বলেছিলেন, 'ওতো অভিনয় বোঝে না'। এদিন এই কথাটা মনে পড়ছিল। দেশের বাইরে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে 'এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছিলাম। ভারতের মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দীন সিদ্দিকীসহ অল্প কয়েকজন এটা পেয়েছেন। যখন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম তখন সেই অপমানের জবাব দিয়েছিলাম। আমাকে কঠোর পরিশ্রম, সততা ও লম্বা জার্নির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল। এখন আর এসব মনে রাখি না।
Comments