‘ফরীদি ছিলেন অসম্ভব মেধাবী অভিনেতা’

রাইসুল ইসলাম আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। সংশপ্তক নাটকে রমজান চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হন প্রবলভাবে। অসংখ্য নাটক, সিনেমায় অভিনয় করেছেন, পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা ও প্রশংসা।

গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল তার প্রয়াণ দিবস। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তাকে নিয়ে কথা বলেছেন আরেক খ্যাতিমান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।

তিনি বলেন, 'হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে প্রথম কবে, কোথায় দেখা কিংবা পরিচয়, তা আজ মনে পড়ে না। ঢাকা থিয়েটার করতে এসে সখ্যতা গড়ে ওঠে, এটুকু মনে পড়ে। আমি ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ফরীদি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মনে পড়ে, আমি, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ জাহাঙ্গীরনগরে যেতাম সেলিম আল দ্বীনের কাছে। ওই সময় ফরীদির সঙ্গেও দেখা হত।'

মঞ্চ নাটকের স্মৃতিচারণ করে রাইসুল ইসলাম আসাদ বলেন, 'ঢাকা থিয়েটার করতে গিয়ে আমাদের হাজারো স্মৃতি। মঞ্চ নাটককে ভালোবেসে আমরা দিনের পর দিন শুধু নয়, বছরের পর বছর থিয়েটারে সময় কাটিয়েছি। একসঙ্গে মঞ্চে অভিনয়ও করেছি ফরীদির সঙ্গে। শকুন্তলা থেকে শুরু করে অনেকগুলো মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছি আমরা। পরে অবশ্য টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছি।'

'সত্যি কথা বলতে ফরীদি ছিলেন অসম্ভব মেধাবী অভিনেতা। অত্যন্ত ক্ষমতাধর শিল্পী বললেও ভুল হবে না। তার অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল মঞ্চে, টেলিভিশনে ও সিনেমায়। ফরীদি একটি কাজই খুব ভালো পারতেন, তা হচ্ছে অভিনয়।'

তিনি আরও বলেন, 'ফরীদি সবসময় আমাকে আসাদ ভাই বলে ডাকতেন। আমি অবশ্য ফরীদি বলে ডাকতাম। আমাকে আপনি সম্বোধন করতেন। আমি তুই সম্বোধন করতাম।'

'ঢাকা থিয়েটার করার সময় আমার একটি মোটরসাইকেল ছিল। ফরীদি, আমি ও আফজাল হোসেন দিনের পর দিন মোটরসাইকেলে ঘুরেছি। কখনো কখনো ৪ জনও উঠেছি। আমিই ড্রাইভ করতাম। পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও উঠতো মাঝেমধ্যে।'

সবশেষে এই অভিনেতা বলেন, 'আমার বেড়ে ওঠা ও জন্ম ঢাকা শহরেই। এই শহরের সব আমার চেনা। কাজেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরার আনন্দটাই ছিল অন্যরকম। তখন তো এখনকার মতো জ্যাম ছিল না। কখনো টিএসসি, কখনো বেইলি রোড চলে যেতাম আমরা। তারপর আড্ডা দিতাম ইচ্ছে মতো। একজীবনে কতই না স্মৃতি। পেছনে ফিরে তাকালে সেসব স্মৃতি আজও মনে পড়ে।'

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

11h ago