কলকাতা মাতাচ্ছে চঞ্চলের ‘হাওয়া’

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। স্টার ফাইল ছবি

অভিনয় দক্ষতা দিয়ে অনেক আগেই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। সর্বশেষ তার অভিনীত 'হাওয়া' সিনেমাটি দেশ-বিদেশে দারুণ সাড়া ফেলে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কলকাতা মাতাচ্ছে 'হাওয়া'।

চঞ্চলের 'হাওয়া' সিনেমাটি কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন দেখানো হয়। চঞ্চল চৌধুরী নিজেও দর্শকের সঙ্গে কলকাতার নন্দনে সিনেমাটি দেখেন।

সেখানকার অভিনয়শিল্পী ও পরিচালকরা চঞ্চলের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে আছেন- প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী, জয় সরকারসহ অনেকে আছেন। এছাড়াও, দর্শকদের কাছেও তিনি প্রশংসায় ভাসছেন।

কয়েক মাস আগেও কলকাতায় গিয়েছিলেন মনপুরাখ্যাত এই অভিনেতা। সেবার তিনি হইচইয়ের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। তবে, এবার তার জন্য চমক এনে দিয়েছে 'হাওয়া'। ফলে কলকাতার মানুষের কাছে এবার তিনি অন্যরকম ভালোবাসায় সিক্ত হলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ রোববার বিকেলে চঞ্চল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এবারের অভিজ্ঞতা অন্যরকম। আমি এই অভিজ্ঞতার কথা কখনোই ভুলব না।'

কলকাতার দর্শকের কেউ কেউ বলছেন, এ যেন চঞ্চল চৌধুরীর কলকাতা জয়।

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'এক কথায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত। কলকাতার মানুষের ভালোবাসার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এটা বাংলাদেশের সিনেমার জন্য বড় অর্জন। আমার বিশ্বাস আমাদের সিনেমা এভাবেই বিশ্ব জয় করবে।'

দর্শকের সঙ্গে নন্দনে 'হাওয়া' সিনেমার ২টি শো দেখেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, 'নন্দনে ১ হাজার ১০০টি সিট। কিন্তু, সব আসন পূরণ হওয়ার পরও কয়েকশ দর্শক ফ্লোরে বসে হাওয়া দেখেছেন। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন আরও অনেকে।'

জানা গেছে, নন্দনে 'হাওয়া' সিনেমা দেখতে দর্শকের বিপুলে আগ্রহের কারণে শো সংখ্যাও বাড়ানো হয়। প্রথম শোতে পুলিশও মোতায়েন করতে হয়।

এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'নন্দনের ইতিহাসে এত দর্শক সমাগম কখনো হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই এ কথা জানতে পেরেছি। তারা এটাও জানিয়েছে, কখনো পুলিশ মোতায়েন করতে হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'শিল্পীর জীবনে বড় প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। একজন দর্শক বলেছেন, তিনি নাকি 'হাওয়া' দেখতে একদিন আগেই কলকাতা এসেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago