দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সর্বশেষ সাক্ষাৎকার

আমি অল্পতে তৃপ্ত মানুষ: মাসুম আজিজ

নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা মাসুম আজিজ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন।
মাসুম আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা মাসুম আজিজ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই অভিনেতা চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেন।

আপনার কাছে অভিনয় কী?

অভিনয় আমার কাছে সবকিছু । অভিনয় আমার সাধনা। শিল্প মানেই সাধনা। শিল্প মানেই ভালোবাসা। শিল্পের পথ  কখনো সহজ হয় না, এখানে সাধনা করতে হয়। সাধনা ছাড়া শিল্পচর্চা হয় না।

আপনি এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন?

এই আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটুকু বলতে পারি, একুশে পদকপ্রাপ্তির খবর শুনে কেঁদে ফেলেছি। ঘোরের মধ্যে কেঁদেছি। এই কান্না অবশ্য কষ্টের নয়। এই কান্না আনন্দের। এই কান্না সুখের। আমার জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? আমার কাছে এটা মহা অর্জন। আমি এত বড় পুরস্কারের যোগ্য কিনা জানি না। অভিনয় কলায় কতটা অবদান রাখতে পেরেছি তাও জানি না। তারপরও কৃতজ্ঞ সরকারের কাছে। আমি কৃতজ্ঞ সাংবাদিকদের কাছে। এছাড়া অভিনয়শিল্পী এবং অভিনয়শিল্পের সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

অভিনয় জীবনে কোনো অপ্রাপ্তি আছে?

না। আমি অল্পতে তৃপ্ত মানুষ। অনেক কিছু চাওয়ার নেই। অভিনয় ভালোবাসি, অভিনয় করি। অভিনয় ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে ভাবি না। অসংখ্য মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। তাদের ভালোবাসার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়ে মনে হয়- আর কী চাওয়ার আছে আমার? কিছুই চাওয়ার নেই।

অভিনয় জীবন কীভাবে কাটালেন?

আমার সকাল শুরু হয় অভিনয় দিয়ে। আমার রাত হয় অভিনয় শেষ করে। আমার মাস কাটে, বছর কাটে অভিনয়ের সঙ্গে। ৫০ বছর ধরে এটাই করছি, তাই অভিনয় ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারি না। অভিনয়ের মধ্যে সব তৃপ্তি খুঁজে পাই।

একজন শিল্পী হিসেবে কতটা দায়বদ্ধতা কাজ করে?

সমাজের প্রতি শিল্পীর অবশ্যই দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। আমার ভেতরেও দায়বদ্ধতা কাজ করে। একজন শিল্পী কখনো তার নিজের নন। তিন শিল্পী সমাজের এবং রাষ্ট্রের।

 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago