আমার জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা অনেক: আবুল হায়াত

আমার জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা অনেক: আবুল হায়াত
আবুল হায়াত ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা আবুল হায়াত ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত আজকের দিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিবাহবার্ষিকীর ৫৪ বছর শেষ করে ৫৫ বছরে পা রাখলেন তারা। ইন্ডাস্ট্রিতে সুখী সংসার জীবনের অন্যতম উদাহরণ এই দম্পতি। তাদের দুই মেয়ে বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত।

বিশেষ দিনটি কীভাবে কাটছে, জানতে চাইলে আবুল হায়াত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খুব সুন্দরভাবে কাটছে দিনটি। গতরাত ১২ টা ১ মিনিটে আমার দুই নাতি-নাতনি কেক কাটে আমাদের নিয়ে। ওরা শাহেদ-নাতাশার সন্তান। আজও দুই নাতি-নাতনি আরেকবার কেক কেটেছে আমাদের নিয়ে। এরপর তাদের নিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। দুপুরে ওদের নিয়ে বাইরে খেয়েছি। ওরা বেশ মজা করেছে। আমরাও খুশি ওদের জন্য।'

আবুল হায়াত আরও বলেন, 'দিনভর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি। এটা খুব আনন্দের কথা। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া, আশীর্বাদ পাওয়া, খুব ইতিবাচকভাবে দেখি আমি বিষয়গুলো।'

আমার জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা অনেক: আবুল হায়াত
নাতি-নাতনির সঙ্গে আবুল হায়াত ও শিরিন হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

সংসারজীবনের ৫৪ বছর পার করে আসার পেছনে কোন বিষয়টি বেশি কাজ করেছে, জানতে চাইলে আবুল হায়াত বলেন, 'বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্মান, বোঝাপড়া—এসব কিছুই কাজ করেছে। সংসার জীবনে দুজনের বোঝাপড়া থাকা ও একে অপরকে সম্মান করা প্রয়োজন।'

এখন এসে চাওয়া কী, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সবার ভালোবাসা নিয়ে সুন্দরভাবে বাকি দিনগুলো কাটাতে চাই। একটা দীর্ঘ জীবন আমরা একসঙ্গে কাটালাম। বাকি দিনগুলো তেমনি করে সুন্দরভাবে কাটুক, এটাই চাওয়া। সবাই আশীর্বাদ করবেন।'

আবুল হায়াতের অভিনয়ের প্রশংসা যেমন করেন তার স্ত্রী শিরিন হায়াত, একইভাবে সমালোচনাও করেন। তিনি বলেন, 'স্ত্রী আমার অভিনয় দেখেন। প্রশংসা তো করেনই। পাশাপাশি অভিনয় ভালো না লাগলে তাও বলেন। কোন নাটকটি ভালো লাগেনি, পোশাক ঠিক হয়নি, সবকিছু নিখুঁতভাবে তুলে ধরেন। এটা আমার কাজের প্রতি আরও ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়।'

অভিনয় জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা কতটুকু, জানতে চাইলে আবুল হায়াত বলেন, 'অনেক, বলে শেষ করা যাবে না। মানুষ যতটুকু আশা করতে পারে, তারচেয়েও বেশি। আমার জীবনে স্ত্রীর ভূমিকা অনেক। হোক ব্যক্তি জীবন কিংবা অভিনয় জীবন।'

Comments

The Daily Star  | English

From chirps to silence

The acrid stench of charred wood and melted plastic still clung to the air as onlookers gathered around the Milestone School and College building in Uttara’s Diabari.

8h ago