ঈদ উদযাপন ও 'রাজকুমার' নিয়ে যা বললেন শাকিব খান

‘একই দিনে এতো সিনেমা মুক্তি নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। এটা যার যার ইচ্ছা।’
শাকিব খান। ছবি: স্টার

শাকিব খান অভিনীত ও হিমেল আশরাফ পরিচালিত ঈদের সিনেমা 'রাজকুমার' দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক—১২৭টি—প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এরইমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির আগামী দুদিনের টিকেট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।

আরশাদ আদনান প্রযোজিত এই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আরও আছেন তারিক আনাম খান, দিলারা জামানসহ অনেকেই।

'রাজকুমার', ঈদ উদযাপন, ঈদের অন্য সিনেমা নিয়ে শুধুমাত্র দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শাকিব খান।

‘রাজকুমার’ সিনেমার টাইটেল গানের দৃশ্যে শাকিব খান ও কোর্টনি কফি। ছবি: সংগৃহীত

ঈদের দিন কীভাবে কাটছে?

প্রতিবার যেভাবে কাটে, এবারো তেমনই। মায়ের হাতে পায়েস খেয়ে নামাজ পড়তে গেছি। বাচ্চাদের সময় দেবো। তারপর দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে সিনেমার খবর নেবো। এইতো এইভাবেই কেটে যাবে ঈদের দিন।

এ ছাড়া, দেশ-বিদেশের বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে। ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই হাসি মুখ।

ঈদ উৎসবে দর্শক কেন 'রাজকুমার' দেখবে?

সিনেমা বলতে আমরা যা বুঝি, 'রাজকুমার' ঠিক তাই। সব ধরনের উপাদান আছে এই সিনেমায়। যতটা ভালো করা সম্ভব, তার সবটুকু করার চেষ্টা করা হয়েছে। সিনেমার লোকেশনে অনেক ভ্যারিয়েশন আছে। দেশের অনেক দর্শনীয় স্থান, আমেরিকার অনেক ভালো জায়গায় এই সিনেমার শুটিং হয়েছে।

বাংলাদেশের যেসব জায়গায় শুটিং হয়েছে সেগুলো দেখে মানুষ বলবে, আহা কী সুন্দর। চোখ জুড়িয়ে যাবে। এই সিনেমার কোনো কিছুতেই কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি।

ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে এতো সিনেমা মুক্তির প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন?

সিনেমা মুক্তি দেওয়ার স্বাধীনতা সব প্রযোজকেরই আছে। তারা সিনেমা বানিয়েছেন মুক্তি দেওয়ার জন্যই।

তবে ভেবে দেখতে হবে যে সিনেমাটা মুক্তি দিলে তার লগ্নি ফেরত আসবে কি না। একজন প্রযোজক পথে বসে গেলে আর তো সিনেমা নির্মাণ করতে পারবেন না।

আলাদাভাবে একই দিনে এতো সিনেমা মুক্তি নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। এটা যার যার ইচ্ছা।

রাজকুমার সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

এখন খুব কম সিনেমায় দেখা যাচ্ছে আপনাকে। কেন?

আমি প্রোপার সিনেমায় নিজেকে যুক্ত করতে চাই। এই কারণে বছরে অল্প সিনেমা করছি। নিজেও তো এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কিন্তু তারপরও সিনেমাটা ভালোভাবে করতে চাচ্ছি।

এ কারণেই 'প্রিয়তমা' সিনেমার পর 'রাজকুমার' করলাম। গল্প, বাজেট—কোনো কিছুতেই ছাড় দেওয়া হয়নি। আরশাদ আদনান, ভার্সেটাইল মিডিয়া তেমনই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। শুধু টাকার দিকে মনোযোগ থাকলে অনেক সিনেমাই করতে পারতাম। কিন্তু সেটা করি না।

আপনার ভক্ত-দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলুন?

আমি কাজের মধ্য দিয়ে দেশকে ও বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের কাছে সম্মানিত করার চেষ্টা করছি। আশা করছি বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষা-ভাষীদের কাছে 'রাজকুমার' প্রিয় হয়ে উঠবে। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়ায় এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর।

Comments