শুয়ে-বসে ছবিটা বানাইনি: সিয়াম

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল রাজ, সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইন্তেখাব দিনার, সুমিত সেনগুপ্ত, রাশেদ মামুন অপু, সাঈদ বাবু, শাহনাজ সুমিসহ আরও অনেকে। ছবি: জাহিদ আকবর/স্টার

আগামী ২৮ অক্টোবর রায়হান রাফী পরিচালিত 'দামাল' সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল রাজ, সিয়াম আহমেদ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইন্তেখাব দিনার, সুমিত সেনগুপ্ত, রাশেদ মামুন অপু, সাঈদ বাবু, শাহনাজ সুমিসহ আরও অনেকে। 

শুরুতে শরিফুল রাজ স্টেজ থেকে বল ছুড়ে মঞ্চে আহ্বান জানান সিয়াম আহমদকে। 

সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটির গল্পটি লিখেছেন ফরিদুর রেজা সাগর। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের সত্য ঘটনার সঙ্গে ফিকশনের আশ্রয় নিয়ে গড়ে উঠেছে 'দামাল' সিনেমার গল্প। কিছুটা এই সময়ও উঠে এসেছে।

পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব সিনেমা তৈরি হয় সেগুলো বেশিরভাগই অনুদানের সিনেমা। বাণিজ্যিকভাবে কেউ মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা বানায় না। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার, যা সবাই মিলে  হলে গিয়ে পরিবার নিয়ে দেখতে পারবে। সেই সঙ্গে তার হাততালি দেবে, নাচবে, কাঁদবে এবং বের হওয়ার সময় তৃপ্তি নিয়ে বের হবে।'

বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, 'আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। যুদ্ধের সময়কার ফুটবল খেলাও দেখিনি। কিন্তু সেই সময়ের একটি গল্পে আমি কাজ করতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। যখন আমি এই সিনেমার শুটিং করেছি তখন মনে হতো আসলেই যুদ্ধ হচ্ছে।  সেই সময়টাতেই আছি। খেলা বাদেও এই সিনেমায় অনেক কিছু আছে। আপনার সেটা সিনেমা হলে গেলেই বুঝতে পারবেন।'

শরিফুল রাজ বলেন, 'বাংলা সিনেমা নিয়ে আগে মানুষের ধারণা ছিল সেটা একেবারে বদলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে মানুষ সিনেমা দেখতে আসে। যেভাবে মানুষ আমার 'পরাণ', 'হাওয়া' সিনেমার সঙ্গে ছিলেন তেমনি 'দামাল' এর সঙ্গে মানুষ থাকবে। ভালো লাগছে আমার অভিনীত ৩ টা সিনেমা এখনো চলছে।'

'দামাল' সম্পর্কে সিয়াম আহমেদ বলেন, 'আসলে একটা সিনেমার পেছনে যে কত শ্রম আর মেধা খরচ হয়, সেটা পর্দার সামনে বসে অনুভব করা যায় না। আজ আপনাদের আমি একটা ঘটনা বলি। আমি রোজ সকালে যেতাম আমরা মাঠে। রোদের মধ্যে সারাদিন প্র্যাকটিস করতাম আর খেলতাম। এর মধ্য দিয়েই আসলে সিনেমার ফুটেজগুলো বেরিয়ে আসে। তো এভাবে একদিন একটি দৃশ্যে আমি আর রাজ দৌঁড়াচ্ছিলাম মাঠে। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আমরা দুজনেই বমি করছিলাম। বাট থামছিলাম না। কারণ, ওটা এক টেকের শট ছিল। থামলেই শট নষ্ট হবে। আবার দিতে হবে পুরোটা। তো পর্দায় কিন্তু সেই দৃশ্যে আমাদের কষ্টটা কেউ দেখবে না। এজন্য বলছি, আপনারা যখন ছবিটা দেখবেন, তখন একটু হলেও টের পাবেন- আমরা আসলে শুয়ে-বসে ছবিটা বানাইনি। আমাদের প্রতিটা মানুষের অনেক ঘাম-শ্রম এতে নিবেদিত।'

Comments

The Daily Star  | English

First phase of Ijtema ends with ‘Akheri Munajat’

The final prayer was conducted by Maulana Zubair, top spiritual leader of Shura-e-Nezami, Bangladesh

1h ago