‘স্বপ্নের মতো জীবন পার করছি’
নাজিফা তুষি ৩ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। 'হাওয়া' সবশেষ। এতে 'গুলতি' চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। ক্যারিয়ারে সুসময় পার করছেন নতুন প্রজন্মের এই অভিনেত্রী।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে সিনেমাসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন নাজিফা তুষি।
'হাওয়া' মুক্তির এক মাস হয়েছে, কী ভাবছেন?
'হাওয়া' দর্শক ধরে রেখে প্রেক্ষাগৃহে টানা এক মাস পার করল। শিল্পীর জন্য যেমন বড় প্রাপ্তি, তেমনি সিনেমার জন্যও। অনেক বছর এমনটি ঘটেনি। এটা যে কতো আনন্দের, কতো ভালোলাগার তা বলে বোঝানো যাবে না।
'হাওয়া'র সফলতায় অনেক পরিচালক নতুন নতুন গল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। অনেক প্রযোজকও নতুন করে বিনিয়োগের চিন্তা করছেন। এমন ঘটনা দীর্ঘদিন পরপর আসে।
কানাডা ও আমেরিকার ১১৭ হলে 'হাওয়া' মুক্তি পাচ্ছে। ১০ দিনের টিকিট বুকড। দেশে-বিদেশে এ সিনেমার সাফল্য অবশ্যই আমার জন্য অনেক আনন্দের।
'হাওয়া'র একজন আমি। অনেকে আমার প্রশংসা করছেন।
সিনেমাটি নিয়ে মামলা পর্যন্ত হলো। আমি মনে করি, যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই জায়গা করে নেওয়া যায়। কাউকে আটকে রাখা যায় না।
অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট কি 'হাওয়া'?
আমি এ সবে বিশ্বাস করি না। সময় বলে দেবে আমার ক্যারিয়ারে কোন কোন সিনেমা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তবে, হ্যাঁ, 'হাওয়া' আমাকে ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে।
এখনো 'হাওয়া'র মধ্যেই আছি। সামনে এগিয়ে যেতে কিংবা চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকতে 'হাওয়া' বড় সাপোর্ট দেবে।
সিনেমাটির প্রচারে আপনি ও সহশিল্পীরা যেভাবে সময় দিয়েছেন তা সচরাচর দেখা যায় না
সিনেমা বানিয়ে তো একা একা দেখা যায় না। সিনেমা একা দেখার বিষয় নয়। সিনেমা সবার জন্য। সিনেমা বানানোর পর প্রচারের দরকার আছে। প্রচারেই প্রসার।
আপনি রান্না করেছেন। কেমন রান্না হলো তা জানতে অন্যকে খাওয়াতে হবে। ভালো কিংবা খারাপ তা খাওয়ার পর বোঝা যাবে।
সিনেমাও তাই। নির্মাণের পর এর প্রচারণা চালানো অবশ্যই প্রয়োজন। তাহলে মানুষ জানতে পারবে। সেজন্য প্রচারে সময় দিয়েছি।
নিশ্চয় অনেক সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছেন?
তা পাচ্ছি। অনেক অফার আসছে। একটু ভেবে-চিন্তে নতুন সিনেমা করব।
'হাওয়া' এতো জনপ্রিয় হবে তা ভাবতে পারিনি। আরও কিছু দিন যাক, তারপর জানা যাবে নতুন সিনেমার খবর।
কেউ কেউ বলছেন অল্প দিনে বেশি প্রাপ্তি যোগ হয়েছে
এটা আমি বলব না। আপনারা বলবেন। আমি এটুকু বলতে পারি, 'হাওয়া' মুক্তির পর চারদিকে আমার নাম ছড়িয়েছে। খুব ভালোভাবেই এটা হয়েছে। আমার নামের সঙ্গে 'গুলতি' নামটি এসেছে। এটা আমার জীবনে নতুন। অভিনয়শিল্পী হিসেবে সম্মান পাচ্ছি। এটা বড় প্রাপ্তি। শিল্পীর কাজ নিয়ে মানুষ বলবে, এটাই তো সাকসেস।
অভিনয়ে এসে পরিবারের সমর্থন কতটা পেয়েছেন?
পরিবার থেকে কখনো বাধা আসেনি। সাপোর্ট পেয়েছি। আমার অবস্থান নিয়ে পরিবার খুশি। তারা গর্ব করেন। পরিবারের সাপোর্ট না পেলে এতদূর আসতে পারতাম না।
ছোটবেলায় নাচ শিখেছি। এজন্য পরিবারের পূর্ণ সমর্থন ছিল।
নারী হিসেবে সবকিছু কতটা চ্যালেঞ্জিং?
মেয়ে হিসেবে সবকিছুই তো চ্যালেঞ্জিং। তবে মেয়েরা এখন অনেক স্বাবলম্বী। বিভিন্ন পেশায় সফল। অনেক সচেতনও। যোগ্যতা-মেধা দিয়ে অনেক দূর পৌঁছে গেছেন। নিজেকে দুর্বল না ভেবে সামনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।
অভিনেত্রী হওয়ার ভাবনাটা কি ছোটবেলায় ছিল?
অনেক সিনেমা দেখতাম। বই পড়তাম। মনের অজান্তে কখনো কখনো অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা হতো।
Comments