হাসপাতালে কেমন আছেন সাইফ আলী খান
সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খানের পরিবার এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে সাইফ ও কারিনার মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটে ডাকাতির চেষ্টা হয়। সাইফকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাকে লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বলিউড লাইফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারা এখন বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহে সাইফের বাড়িতে আছেন।
কিন্তু হাসপাতালে সাইফ এখন কেমন আছেন? তা জানতে উদগ্রীব হয়ে আছেন ভক্তরা।
সর্বশেষ তথ্য জানাতে সাইফের দল একটি বিবৃতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত আছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অভিনেতার পরিবারও নিরাপদে আছে। তার দলের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সাইফ আলি খান অস্ত্রোপচার সফলভাবে শেষ হয়েছে। তিনি এখন বিপদমুক্ত। প্রিয় অভিনেতা বর্তমানে সুস্থ আছেন এবং চিকিৎসকরা তার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পরিবারের সবাই নিরাপদে আছেন এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আমরা ডা. নীরজ উত্তমণি, ডা. নীতিন ডাঙ্গে, ডা. লীনা জৈন ও লীলাবতী হাসপাতালের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এই সময়ে সব ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্যেও ধন্যবাদ।
এর আগে, কারিনা কাপুর খানের দলও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সাইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তার পরিবার এখন নিরাপদে আছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর সকালে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গেছে, সাইফের সন্তান সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলী খান লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
বলিউড লাইফ বলছে, পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে সাইফকে দেখতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবুও তাদের হাসপাতালে দেখা গেছে। হামলার হাত থেকে পরিবারকে বাঁচাতে সাইফ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে, ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হন সাইফ আলী খান। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গতরাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সেসময় সাইফের স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুরসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বাড়ির বাসিন্দারা জেগে উঠলে ডাকাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অপরাধীকে ধরতে পুলিশের একাধিক দলও গঠন করা হয়েছে।
একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসার জানান, ডাকাতের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়েছিল কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চও এ ঘটনার তদন্ত করছে।
লীলাবতী হাসপাতালের সিওও ডা. নিরাজ উত্তমানি বলেন, 'ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে সাইফকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে, যার মধ্যে দুটি গভীর। একটি আঘাত তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি।'
Comments