মায়ের জন্যই আজকের আমি: নাদিয়া

মায়ের সঙ্গে নাদিয়া আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

নাদিয়া আহমেদ জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী, মডেল ও অভিনয়শিল্পী। অনেক বছর ধরে নাচ ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। ছোটবেলায় আলোচিত ধারাবাহিক 'বারো রকম মানুষ' নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। এখনো অভিনয়ে প্রচণ্ড ব্যস্ত তিনি।

আজ মা দিবস। মা দিবসে মাকে নিয়ে নাদিয়া কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

নাদিয়া বলেন, 'আমি যা হয়েছি, যতটুকু মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছি, দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছি, তার সবকিছুর জন্য মায়ের অবদান রয়েছে। মায়ের জন্যই আজকের আমি। মায়ের জন্যই এতদূর আসতে পেরেছি। মা না থাকলে সম্ভব হত না।'

মায়ের সঙ্গে নাদিয়া আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

'খুব ছোটবেলায় মা একটু একটু গান করতেন। মায়ের ইচ্ছে ছিল আমিও গান শিখব। কিন্তু মা দেখলেন, গান শুনলেই আমি নাচতে শুরু করি। এরপর স্কুলে ভর্তির আগেই তিনি আমাকে নাচ শেখানোর জন্য দিয়ে দেন। শিশু একাডেমিতে কয়েক বছর নাচ শিখি মায়ের আগ্রহ ও ভালোবাসার কারণে।'

'আমি আরও বড় হওয়ার পর মা আমাকে বাফায় ভর্তি করিয়ে দেন। ওখানে বেশ কয়েকবছর লেগে যায় কোর্স শেষ করতে। মা আমাকে ক্লাস করতে নিয়ে যেতেন। আমি যাতে ভালো ফলাফল করতে পারি তার জন্য তাগিদ দিতেন, সবসময় প্রেরণা যোগাতেন। মায়ের জন্যই বাফা থেকে নাচের কোর্স করতে পারি।'

'ভিকারুননিসা নুন স্কুলের ছাত্রী ছিলাম আমি। মায়ের জন্যই ওখানে ভর্তি হতে পারি। একবার চার শাখায় আমি প্রথম হয়েছিলাম। একদিকে নাচ শেখা, আরেকদিকে স্কুলের পড়া—সবই সম্ভব হয়েছে মায়ের জন্য। মা মন থেকে চেয়েছেন বলেই হয়েছে এতকিছু। মা ভালোবাসা দিয়ে, মমতা দিয়ে লেগেছিলেন।'

'স্কুলজীবনে "বারো রকম মানুষ" নাটকে অভিনয় করি। সেইসময়ও মায়ের ভূমিকাই বেশি। মা সবসময় চাইতেন ভালো একজন মানুষ হই এবং সংস্কৃতিচর্চা করি। আরও বড় হয়ে যখন শুটিং করতে থাকি, মা সবসময় কাছে থাকতেন। মা শুধু আমার মা নন, আমার বন্ধু। মা আমার ভালো বন্ধু।'

'মা ভালো বন্ধু বলেই তার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে পারি। সব কথা খুলে বলতে পারি। এখনো মা আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু। মা দিবসে মাকে স্যালুট। মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। সত্যিই মায়ের অবদানের কথা কখনোই বলে শেষ করা যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago