কোনো মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়: ফেরদৌস

মায়ের সঙ্গে ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে 'হঠাৎ বৃষ্টি' মুক্তি পেলে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেন ফেরদৌস। ঢাকা ও কলকাতার প্রচুর ছবিতে অভিনয় করেছেন। উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। ২৫ বছর ধরে অভিনয়ে সঙ্গে যুক্ত আছেন। একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

আজ বিশ্ব মা দিবসে মাকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংসদ সদস্য।

ফেরদৌস বলেন, 'আমি সৌভাগ্যবান প্রতি মুহুর্তে মায়ের ভালোবাসা পাচ্ছি । মায়ের দোয়া পাচ্ছি। সেইসঙ্গে মায়ের স্নেহ ও আদরও পাচ্ছি। এটা একজন সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার সৌভাগ্য কজনের হয়?'

ফেরদৌস আরও বলেন, 'মায়ের সঙ্গে সন্তানের যে বন্ধন, তার সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো কিছুর তুলনা হয় না। মাকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করাও ঠিক না। মা তো মা-ই। তিনি তুলনাহীন।'

মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, 'সকল মা ভালো থাকুন। সকল মা সুস্থ থাকুন। মাকে যেন আমরা সবাই ভালোবাসি, তার মূল্য বুঝি। মাকে যেন কষ্ট না দেই। মাকে ভালোবাসতে পারাটা সন্তানের জন্য পরম প্রাপ্তি। যারা মাকে ভালোবাসাতে পারল না, তারা জীবন থেকে বড় কিছু হারালো।'

ফেরদৌস আরও বলেন, 'মা দিবসে একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই। সেটা হলো, অনেক মা বৃদ্ধাশ্রমে আছেন। তা যেন না হয়। মা দিবসে আমার অনুরোধ—কোনো মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। একজন মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো মানে তার প্রতি অবিচার করা।'

মায়ের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে নিয়েই তিনি এতদূর এসেছেন বলেও মন্তব্য করেন ফেরদৌস। বলেন, 'যখনই মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলি, ফোনটা রেখে দেওয়ার সময় মা চুমু দেন, দোয়া করেন । দেখা হলে জড়িয়ে ধরেন। এটা আমার জীবনের পরম পাওয়া।'

ফেরদৌস বলতে থাকেন, 'মা দিবসে বলতে চাই—মাকে সম্মান করুন, ভালোবাসুন। মা হারিয়ে গেলে এই সুযোগ পাবেন না। তখন আফসোস করবেন। আমার দুই মা। একজন গর্ভধারিনী মা, আরেকজন শাশুড়ি মা। দুজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার আরেকজন মা আছেন। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ভালোবাসা, স্নেহ-মমতাও পাচ্ছি। তার জন্যও মা দিবসে দোয়া।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago