নতুন স্ক্রিপ্ট লিখলেই রুমী ভাইকে মনে পড়বে: মীর সাব্বির

অলিউল হক রুমী। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত অভিনেতা অলিউল হক রুমী অভিনীত বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ও একঘণ্টার নাটকের পরিচালনায় ছিলেন মীর সাব্বির। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় 'নোয়াশাল', 'বরিশাল বনাম নোয়াখালী'।

তাদের দুজনের বাড়িও একই জেলায়—বরগুনা।

মীর সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত

অলিউল হক রুমীকে নিয়ে মীর সাব্বির বলেন, 'রুমী ভাইয়ের বাড়ি বরগুনা, আমার বাড়িও বরগুনা। সেদিক থেকে আলাদা একটা টান সবসময়ই কাজ করত তার প্রতি। তবে এটাও সত্যি, আমাদের পরিচয় বরগুনাতে নয়, ঢাকায় অভিনয় করতে এসেই হয়েছে। সেই পরিচয় একটা সময় পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত হয়।'

'আমার পরিচালিত প্রথম নাটকে ‍রুমী ভাই অভিনয় করেছিলেন। সবসময় সাবলীল অভিনয় করতেন। অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল দারুণ। আমার পরিচালিত প্রথম নাটকের নাম ছিল "বরিশাল বনাম নোয়াখালী"। অনেক শিল্পী ছিলেন নাটকটিতে, রুমী ভাইও ছিলেন। চমৎকার অভিনয় করেছিলেন তিনি।'

'আরও পরে একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করি। "নোয়াশাল" নাটকটিতে রুমী ভাই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। মনে পড়ে, আশুলিয়ায় শুটিং করেছিলাম। প্রতিদিন শুটিং শেষে আড্ডা দিতাম। সেসব স্মৃতি কখনো ভুলতে পারব না।'

'রুমী ভাইকে নিয়ে একটি আফসোস সারাজীবন থাকবে—অভিনয় জীবনের সেরা সময়ে চলে গেলেন তিনি। অভিনয়ে তার অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। আমি যখনই নতুন স্ক্রিপ্ট লিখতাম, নতুন গল্প নিয়ে ভাবতাম, তখনই রুমী ভাইকে নিয়ে ভাবতাম। তার জন্য একটা চরিত্র থাকতোই।'

'তাকে আর পাব না। নতুন স্ক্রিপ্ট লিখলেই রুমী ভাইকে মনে পড়বে। নতুন গল্প ভাবনায় এলেও তার কথা মনে পড়বে। তাকে মিস করব।'

'আজ সকাল থেকে বারবার মনে হচ্ছে, রুমী ভাই আপনাকে খুব মিস করব। খুব মনে পড়বে আপনার কথা। শিল্পী হিসেবে আপনি ছিলেন অসম্ভব বিনয়ী। এত ভালো মানুষ, এত সরল মানুষ কম পেয়েছি একজীবনে। কারো সঙ্গে কোনোদিন ঝুট-ঝামেলাও করেননি। সবার প্রিয় ছিলেন আপনি। আজ আপনি বহুদূরের মানুষ, যেখান থেকে কেউ ফেরে না। আকাশের ঠিকানায় ভালো থাকবেন রুমী ভাই।'

Comments