ছেলের জন্মাদিন উপলক্ষে ৭ দিন ধরে উৎসব চলছে: পরীমনি

ছেলের সঙ্গে পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

পরীমনি ও রাজের সন্তান রাজ্যর প্রথম জন্মদিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সন্তানের প্রথম জন্মদিনকে ঘিরে অন্যরকম সুন্দর সময় পার করছেন পরীমনি।

আজ বুধবার বিকেলে পরীমনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছেলের জন্মাদিন উপলক্ষে বাসায় ৭ দিন ধরে উৎসব চলছে। খুব আনন্দে সময় কাটছে। সবাই মিলে ভীষণ মজা করছি। কী যে ভালো লাগছে!'

বাসায় কে কে আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নানু তো আছেনই। এছাড়া নানুর সম্পর্কের সব আত্নীয় এখন আমার বাসায়। অনেকদিন পর আমরা একত্রিত হয়েছি। শুধু মাত্র ছেলের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে।'

সম্প্রতি ছেলের নাম পরিবর্তন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যকে আলোচনা চলছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, 'পদ্ম নামটি কিন্তু আমি রেখেছি। সবাই বলছেন পদ্ম নামটি সুন্দর। বাসায় আমি ছেলেকে পদ্মফুল নামে ডাকি। এটা সবাই জানেন। তা ছাড়া সম্প্রতি নানু 'পূণ্য' নামটি রেখেছেন। ওটাও সুন্দর নাম।'

'রাজ্য, পদ্ম, পূণ্য—তিনটিই ওর নাম,' বলেন তিনি।

প্রথম জন্মদিনে সন্তানকে কী উপহার দিচ্ছেন জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, 'কত কিছুই তো করেছি। কিছুটা সারপ্রাইজ থাকুক। এটুকু বলতে চাই, ছেলের জন্য দীর্ঘ চিঠি লিখেছি। আগামীকাল চিঠি পড়ে শোনানো হবে। ছেলে বড় হয়ে দেখুক ওর জন্য কত কী করেছি! দিনটি স্মরণীয় করতেই এমন আয়োজন।'

ছেলেকে লেখা চিঠির বিষয়ে পরীমনি বলেন, 'যখন জেলে ছিলাম তখন নানু একটি চিঠি লিখেছিলেন। আমিও নানুকে লিখেছিলাম। ওটাই ছিল সর্বশেষ চিঠি লেখা। এবার লিখলাম ছেলের জন্য।'

আগামীকালের আয়োজনে পরীমনির সহকর্মী ও কাছের মানুষজন নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। এছাড়া তার নানুর পরিবারের সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে ছেলের জন্মদিনে রাজকে নিমন্ত্রণ করেননি তিনি।

এ বিষয়ে পরীমনি বলেন, 'সে কি কখনো খোঁজ নিয়েছে? নেয়নি। তাহলে তাকে কেন বলতে যাব? আমি চাই না সে আমার সন্তানের ছায়ার কাছেও আসুক।'

পরীমনি বলেন, 'ছেলে বড় হোক, ভালো মানুষ হোক, সুন্দরের সাথে বেড়ে উঠুক, এটাই চাই। সবার আশীর্বাদ চাই। কোনো অসুন্দর, অমঙ্গল যেন সন্তানকে স্পর্শ করতে না পারে। আলোর সাথে, ভালোর সাথে, আনন্দের সাথে সে বেড়ে উঠুক।'

আগামী মাস থেকে শুটিংয়ে ফিরছেন পরীমনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আশা করছি সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে শুটিংয়ে ফিরব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Airborne superbugs lurk in Dhaka hospitals

Amid the bustling corridors of Dhaka’s hospitals, an invisible danger wafts silently through the air -- drug-resistant bacteria.

11h ago