ছোটবেলায় ঈদের ৭দিন ৭টি পোশাক পরতাম: সোহানা সাবা

সোহানা সাবা। ছবি: সংগৃহীত

সোহানা সাবা জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করছেন অনেক বছর ধরে, ওয়েব ফিল্মেও সরব তিনি। শখের বশে করছেন উপস্থাপনা। এ ছাড়া একজন নৃত্যশিল্পীও তিনি।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে ছোটবেলার ঈদ নিয়ে কথা বলেছেন সোহানা সাবা।

তিনি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে ছোটবেলার ঈদ সবচেয়ে আনন্দের ছিল। ছোটবেলার ঈদ ছিল সবচেয়ে রঙিন এবং সুন্দর। ছোটবেলার ঈদই সত্যিকারের ঈদ। এখন তো দায়িত্ব বেড়ে গেছে। এখন ঈদ আসে দায়িত্ব নিয়ে। কিন্ত ছোটবেলায় ঈদ আসত খুশির বার্তা নিয়ে।

ছোটবেলায় ঈদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগত নতুন পোশাক পাওয়া। নতুন পোশাকের রং কি হবে, কখন কোন পোশাক পরে ঘুরতে যাব এসব বিষয় কাজ করত। নতুন পোশাক পাওয়ার পর সেটা লুকিয়ে রাখব, কেউ যেন পরার আগে না দেখে, এসব বিষয়ও কাজ করত। সেজন্য ফেলে আসা ঈদের সময়গুলো খুব মিস করি।

ঈদের ৭ দিন ৭টি পোশাক পরতাম ছোটবেলায়। ঈদের সময় ছাড়া ঘুরতে যাবার জন্য সময় বাঁধা থাকত। কিন্তু ঈদের সময় তা থাকত না। ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারতাম। আমরা অনেকগুলো কাজিন। সবাই মিলে ঘোরার আনন্দটাই দারুণ ছিল।

বছরের ২ ঈদে আমরা ২ জায়গায় থাকতাম। এক ঈদে ঢাকায়, আরেক ঈদে রাজবাড়ি দাদাবাড়িতে। দাদাবাড়িতে খুব মজা হতো। আব্বার সব ভাই-বোন ও আত্মীয়রা আসতেন। সবাই একত্র হবার মজাটাই অন্যরকম ছিল।

রাজবাড়িতে যাবার পর মাঠে ছুটে বেড়াতাম। কী যে ভালো লাগত! আমার স্মৃতিতে, আমার চোখে এখনো মাঠ দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ভাসে। ওই রকম সুন্দর দৃশ্য আর হতেই পারে না। সে সময় অপেক্ষায় থাকতাম কবে ঈদ আসবে, কবে রাজবাড়ি যাব, ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াব। আবার ঢাকার ঈদের জন্যও অপেক্ষা করতাম।

এখন ঈদ আসে সত্যি, কিন্ত ছোটবেলার খুশি ও আনন্দের মতো সেরকম পুরোটা পাই না। মনে হয় কিছু একটা নেই। বাচ্চারা যখন আনন্দ করে, ওদেরটা দেখে অবশ্য একটি সুখ পাই, পেছনে ফিরে যাই স্মৃতির জানালায়।

আমি মনে করি ছোটবেলার ঈদটাই সবচেয়ে মজার, সবচেয়ে সুখের ও আনন্দের, যা কেবল ওই সময়টায় সবার জীবনে আসে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago