বিজয়ের খবর শুনে কেঁদেছিলাম: রাইসুল ইসলাম আসাদ

রাইসুল ইসলাম আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আজীবন সম্মাননা, একুশে পদক জয়ী খ্যাতিমান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ। সীমানা পেরিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন, করেছেন গেরিলা যুদ্ধ।

দ্য ডেইলি স্টারের কাছে ১৯৭১ সালের বিজয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন বরেণ্য অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।

তিনি বলেন, 'অনেক ত্যাগের বিনিময়ে, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই বিজয়। অনেক কিছু হারানোর মধ্যে দিয়ে বিজয় পেয়েছিলাম আমরা। আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের, ভালোলাগার, ভালোবাসার, খুশির খবর হচ্ছে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বিজয়ী হওয়া। এটা যে কতটা খুশির খবর ছিল সেইদিন তা বলে শেষ করা সম্ভব না।

১৯৭১ সালের আজকের দিনে বিজয়ের খবর শুনে কেঁদেছিলাম। খুশিতে-আনন্দে চোখে পানি এসেছিল। একটি দেশ, একটি পতাকা ও স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। তা পাওয়ার পর আনন্দে বুকটা ভরে গেয়েছিল। সেজন্য কেঁদেছিলাম প্রচণ্ড খুশিতে। যুদ্ধের বছর ডিসেম্বর মাসটি ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিসেম্বর আসার পরপরই আমরা টের পেতে শুরু করি জয় আমাদের হবেই হবে। বিজয় কেউ নিতে পারবে না। তখন ধামরাই ছিলাম। তারপর ঢাকায় আসি। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল খুব ঘটনাবহুল। ১৫ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় চলে এসেছিলাম। বিজয়ের খবর এক এক করে পাচ্ছিলাম।

আজকের দিনে ঢাকা শহরের চিত্রটা কেমন ছিল এখনো চোখে ভাসে। মালিবাগে ছিলাম। বের হয়ে দেখতে পাই দুয়েকজন মানুষ। সারাদিন বাইরে থাকি। ধীরে ধীরে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে শহরে। জয় বাংলা স্লোগান আসতে শুরু করে।

বিকেলবেলা চারদিকে মানুষ এবং জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। নিশ্চিত বিজয় আসে। লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ পাই আমরা। আমাদের জীবনের বড় অহংকার বাংলাদেশ পেয়েছি। এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে? এই বিজয় আমার অহংকার। এই বিজয় বাঙালির জীবনের বড় অর্জন।'

Comments

The Daily Star  | English

Former CEC ATM Shamsul Huda passes away at 83

As CEC, Huda oversaw the ninth parliamentary elections in 2008

24m ago