এখনো গান চর্চা করি, সাধনা করি: রুনা লায়লা

রুনা লায়লা। ছবি: স্টার

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা তার গানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন বিশ্বের দরবারে। ১৮টি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই গিয়েছেন, সম্মান বয়ে এনেছেন নিজের ও দেশের জন্য।

এ বছর সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ করেছেন রুনা লায়লা। বরেণ্য ও গুণী এই শিল্পীর জন্মদিন ১৭ নভেম্বর।

মাত্র ১২ বছর বয়সে সিনেমায় গান করেন সিলেটে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী। সংগীতে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।

Runa Laila
রুনা লায়লা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

কেবল নিজ দেশে ও ভাষায় নয়, সীমানা পেরিয়ে নানা দেশে, নানা ভাষায় গান গেয়ে নিজেকে তিনি করে তুলেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী; পেয়েছেন কোটি মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান।

এত মানুষের ভালোবাসার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই রুনা লায়লা বলেন, 'সবকিছুর জন্য মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আল্লাহর মেহেরবানী। মাঝে মাঝে আমি নিজেই ভাবি, এত মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি, এখনো পাচ্ছি—এ জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। হয়তো আমি কপাল নিয়ে জন্মেছি।'

তিনি বলেন, '৬০ বছর ধরে সংগীতের সঙ্গে আছি, গান করছি। একটা সফল জার্নি আমার গানের জগতে। এখনো গানের চর্চা করি। গানের সাধনা করি। গান ভালোবাসি।'

'আমার কাছে মনে হয়, গান আমার আত্মার পরিচয়। গানটা আত্মার মধ্যে আছে। গান সাধনার। সাধনা তো লাগবেই, তপস্যা বলতে পারি। সারাক্ষণ গান নিয়ে থাকি। নিজের মধ্যে গান করি,' যোগ করেন তিনি।

রুনা লায়লা। ছবি: স্টার

রুনা লায়লা জানান, তার এই বর্ণাঢ্য জীবনে সফলতার পেছনে অবদান রয়েছে পুরো পরিবারের। তবে, ক্যারিয়ারে মায়ের অবদান বেশি।

তিনি বলেন, 'মা বেশি কষ্ট করেছেন, বেশি সময় দিয়েছেন। মায়ের সহযোগিতা ছিল সবচেয়ে বেশি। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সঙ্গে থেকেছেন। অনেক সময় বাবাও গেছেন। পরিবারের সাপোর্ট পুরোটা পেয়েছি।'

নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন রুনা লায়লা। এমনকি তাদেরকে টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠানে টেলিফোনও করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুনা লায়লা বলেন, 'এটা কাউকে দেখানোর জন্য করি না, মন থেকে করি, ভালোবেসেই করি। এক সময় আমরা কেউ থাকব না। এই তরুণরাই বড় হবে। ওদের গান ভালো লাগলে ফোন করি, প্রশংসা করি। সরাসরি গান ভালো লাগার কথা জানিয়ে দেই। ওরাও খুশি হয়। উৎসাহ পায়। তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে।'

রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত

জন্মদিনের পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'দেশেই আছি, ঢাকায় আছি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব।'

এই সময়ের প্রত্যাশা কী?—উত্তরে তিনি বলেন, 'প্রথম জীবনে চাওয়া ছিল মানুষের জন্য কিছু করব। মানুষের উপকার করব। ছোটবেলায় ভাবতাম, গরিব বাচ্চাদের খেলনা ও খাবার কিনে দেবো। সেই চেষ্টা এখনো আছে। মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা থাকে। এটা করে সুখ পাই, ভালো লাগে।'

Comments

The Daily Star  | English

Tajia procession marks holy Ashura in Dhaka amid tight security

Crowds began gathering at the site from the early hours, with many attending alongside their families and children

1h ago