বিদেশি ঋণের ব্যয় বাড়ছে

বৈশ্বিক সুদের হার বৃদ্ধি ও বৈদেশিক ঋণ পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের কারণে তিন বছরের মধ্যে বৈদেশিক ঋণের ওপর বাংলাদেশের সুদ পরিশোধের হার ৬৫ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ক্রমাগত কমতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে ঋণের সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২২১ কোটি ডলার বা প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকায়। অন্যদিকে গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ৩৫ শতাংশ কমেছে।

চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ঋণের আসল পরিশোধের পরিমাণও ২৮ শতাংশ বেড়ে ৩১৭ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে সুদ ও মূল অর্থসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩৮২ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছিল। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি ডলারে। ২০২৭ সালে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫৩৮ কোটি ডলারে।

'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (এমটিএমপিএস)' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বৈদেশিক ঋণের ঝুঁকি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের অনুপাত ২০২২-২৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক নয় শতাংশ থাকলেও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দুই দশমিক ছয় শতাংশ হবে, যার মাধ্যমেই বোঝা যায় যে বৈদেশিক ঋণের প্রভাব বাজেটেরও ওপরও পড়বে।

এতে আরও বলা হয়, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের হার বৃদ্ধিতে দুটি কারণ মূল ভূমিকা রাখছে।

প্রথমত, সাম্প্রতিক সময়ে উন্নত দেশগুলোতে বাজারভিত্তিক সুদের হার অনেক বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে বৈদেশিক উৎস থেকে রেয়াতি ঋণপ্রাপ্তিও কমতে থাকবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Foreign debt costs to spiral

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh asks India not to interfere in internal affairs

Dhaka asks New Delhi not to interfere in Bangladesh's internal affairs

Foreign Secretary Jashim Uddin briefed journalists following the Foreign Office Consultation between Bangladesh and India

10h ago