এখনো মার্চের বেতন পরিশোধ করেনি ৫০ শতাংশ কারখানা
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার একদিন আগেও দেশের অর্ধেক মিল-কারখানা এখনো কর্মচারীদের মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
তাদের তথ্যে দেখা গেছে, নয় হাজার ৪৬৯ কারখানার মধ্যে চার হাজার ৮৪৯টি গতকাল সোমবার পর্যন্ত মার্চের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৫১ দশমিক ২১ শতাংশ কারখানা এখনো মার্চের বেতন দেয়নি।
তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা চার হাজার ৬২০টি মিল ও কারখানা মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে।
কারখানা ও মিলগুলো আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও নরসিংদীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত।
অন্যদিকে, ঈদের আগে বোনাস পরিশোধ করেছে ৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কারখানা, যেখানে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক হাজার ৭৬৬টি মিল-কারখানা এখনো বোনাস দেয়নি।
এক বিবৃতিতে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১১৬টি মিল ও কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করবে না এবং ৩৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বা তিন হাজার ৩৮১টি মিল ও কারখানা ইতোমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে।
গতকাল পর্যন্ত ৬৩১টি মিল ও কারখানা বন্ধ ছিল এবং ৭১টি আংশিকভাবে খোলা ছিল।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম মান্নান কচি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চার থেকে পাঁচটি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়লেও ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
বেশিরভাগ পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করছি আজকের মধ্যে বাকিদেরও বেতন দিয়ে দেওয়া হবে।
গত ২৭ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী ঈদের ছুটি শুরুর আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
শ্রম মন্ত্রণালয়ে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তখন কোনো নির্দিষ্ট তারিখের কথা না বললেও ঈদের সরকারি ছুটি শুরুর আগেই অর্থ পরিশোধ করার কথা বলেন তিনি।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, শ্রমিকদের ঈদের ছুটি সরকার ঘোষিত ছুটির সমান হবে, এর চেয়ে কম না।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সময়মতো অর্থ পরিশোধের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগে কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করা যাবে না।
Comments