‘দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থা কঠিন সময় পার করছে’
বর্তমানে দেশের সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থা কঠিন সময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়কর আইন-২০২৩ নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থা, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক কাঠামোকে একটি চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আরেকদিকে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম ও উন্নত অর্থনীতির দেশে রূপান্তরের প্রাক্কালে সামগ্রিক কর ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন।'
গত কয়েক বছর মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঝে দেশ এমনিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল। এর মাঝে এ বছর নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ কঠিন ছিল বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'মোট আয়করের প্রায় ৪৫ শতাংশ এমসিসিআইয়ের সদস্যদের কাছ থেকে আসে।'
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমান আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী করদাতার মাসিক ও বার্ষিক রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা খুবই প্রশংসনীয়। এই ব্যবস্থায় করদাতার স্বচ্ছতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে এমসিসিআই বিশ্বাস করে।'
তবে প্রচলিত আয়কর রিটার্ন তৈরি ও দাখিলের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক কিছু সমস্যা আছে। এছাড়াও উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সমস্যা দেখা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সব ধরনের লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। যা ব্যবসা সহজ করতে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক।'
কর অঞ্চল-১৫-এর কর কমিশনার আহসান হাবিব বলেন, 'অর্থ আইন-২০২৩ এর ওপর আরও কাজ করার সুযোগ আছে। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব পেলে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করারও সুযোগ আছে।'
Comments