রামপালে ৩০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা

রামপাল সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও সৌদি আরবের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের রামপালে যৌথভাবে ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

বর্তমানে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। গত ২ আগস্ট এর উদ্বোধন করা হয়

রাজধানী ঢাকা থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে রামপালে ৯০০ একর জমির ওপর ৪৩ কোটি ডলার খরচে ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভিয়েলাটেক্স গ্রুপ ও কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেডের ১৫ শতাংশ এবং সৌদি আরবের এসিডব্লিউএ পাওয়ারের ৪৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে। বিপিডিবি শুধু জমি দিয়ে ২৫ শতাংশের মালিক হবে।

এন্ড-টু-এন্ড অ্যাপারেল সলিউশন সরবরাহকারী হিসেবে পরিচিত ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের বার্ষিক লেনদেন ৪০০ মিলিয়ন ডলার।

একই ধরনের সেবা প্রদানকারী কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড ইয়ুথ গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে—পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মিডল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেড।

ভিয়েলাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কে এম রেজাউল হাসানাত টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রস্তাবিত এই কেন্দ্রে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, সরকার ২০ বছরের জন্য প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টার বিদ্যুৎ কিনবে ১০ দশমিক ২০ সেন্ট দিয়ে।

উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৫ লাখ বাড়ি বা ৬০-৭০টি বৃহৎ কম্পোজিট মিলে সরবরাহ করা হতে পারে। এটি দেশের অর্থনীতিতে বছরে ৬ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে।

এটি বছরে সাড়ে ৪ লাখ টন কার্বন কমাতে পারে। যদিও দেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাথাপিছু শূন্য দশমিক ৫২ মেট্রিক টন।

কে এম রেজাউল হাসানাত জানান, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম অনেক বেশি। সেখানে কিছু কারণে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়ে ২ থেকে ৩ সেন্ট।

তিনি আরও জানান, দেশে একটি ২০ বছরের প্রকল্পের খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ জমি ইজারা বা অধিগ্রহণ ও উন্নয়নে খরচ হয়।

এ ছাড়াও, এখানে সূর্যের তাপের তীব্রতা ৪০ শতাংশ কম, ঋণের খরচ বেশি ও সোলার প্যানেল আমদানিতে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি কর গুনতে হয়।

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Reducing US trade GAP: Dhaka turns to Boeing, wheat imports

Bangladeshi officials are preparing for a third round of talks in Washington next week

6h ago