ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চায় ‘পাঠাও’
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ডিজিটাল পরিষেবা প্রতিষ্ঠান 'পাঠাও' ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সের অপেক্ষায় আছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ শনিবার 'পাঠাও'র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রায় এক কোটি তরুণ ভোক্তা ও ৫ লাখ চালক, ডেলিভারি এজেন্ট ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনমান প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে 'পাঠাও'।
দেশের তরুণ প্রজন্মের যে বৃহৎ অংশ ডিজিটাল জীবনযাপনে অভ্যস্ত, তাদের বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই 'পাঠাও' এর সেবা নিয়মিত নিয়ে থাকেন উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, ঋণ গ্রহণের জন্য তরুণদের পর্যাপ্ত যোগ্যতা ও চাহিদা থেকে থাকলেও এজন্য তাদেরকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়।
সমৃদ্ধ গ্রাহক ডেটা, উন্নত অ্যানালিটিকস ও উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশল থাকায় 'পাঠাও' এই তরুণদের আর্থিক সমস্যা সমাধানে 'পাঠাও পে লেটার' বা 'বাই নাও পে লেটার' সেবা এনেছে।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরুর পর থেকে 'পাঠাও পে লেটার' সময়মতো বকেয়া পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়ে এসেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিলে ডিজিটাল পেমেন্ট ওয়ালেট চালুর জন্য 'পাঠাও'কে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) লাইসেন্স দেওয়া হয়। 'পাঠাও পে' ইতোমধ্যেই ক্লোজড বেটা টেস্টিং প্রক্রিয়ায় আছে। কয়েক মাসের মধ্যে তা বাণিজ্যিক পরিসরে চলে আসবে বলে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স 'পাঠাও'কে যে রেগুলেটরি কাঠামোর সুবিধা দিবে তার মাধ্যমে ভোক্তারা তাদের পছন্দমতো লেনদেন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় অর্থায়নের পাশাপাশি পছন্দমাফিক তহবিল পরিচালনা করতে পারবেন।
'পাঠাও'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ফাহিম আহমেদ বলেন, 'পাঠাও শুধুমাত্র ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট না—এটি লাইফস্টাইল। শহরে যাতায়াত ব্যবস্থা ও দেশের গিগ অর্থনীতির ক্ষেত্রে পাঠাও যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।'
'এবার পাঠাও ডিজিটাল ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও আমূল বদলে দেবে' বলে মনে করেন তিনি।
'আমরা বিশ্বাস করি, দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমরা ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করবো,' যোগ করেন ফাহিম আহমেদ।
Comments