৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিলো আইএমএফ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার আইএমএফের সভায় ঋণের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিশ্চিত করেছেন।

ঋণ অনুমোদনের প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।'

'অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে আইএমএফ হয়তোবা এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো দুর্বল, তাই আইএমএফ এ ঋণ প্রদান থেকে বিরত থাকবে। এ ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাগুলো শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছ এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তা ভালো', বলেন তিনি।

বার্তাসংস্থা ইউএনবির তথ্য অনুযায়ী, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি দল ঋণ কর্মসূচির বিশদ বিবরণ বের করতে গত বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর ঢাকা সফর করেছেন। এরপর আইএমএফের ডিএমডি আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ ১৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে ঋণ পাচ্ছি। বাংলাদেশের জন্য মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে।'

২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭টি কিস্তিতে এই অর্থ বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া, ৪৪৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া হবে। অবশিষ্ট পরিমাণ ৬৫৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলার ৬টি সমান কিস্তিতে দেওয়া হবে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ইউএনবি জানিয়েছে, ঋণের সুদের হার ম্যাচুরিটির সময় বাজারের হারের ওপর নির্ভর করবে। এ ছাড়া, অর্থ মন্ত্রণালয় হিসাব করেছে যে এই হার প্রায় ২ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

আইএমএফ এর আগে বলেছিল যে, রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে তাদের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা (ইসিএফ) এবং বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) অধীনে প্রায় ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের ৪২ মাসের ব্যবস্থাসহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে সমর্থন করার একটি কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা আরএসএফের অধীনে পাওয়া যাবে প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago