নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা

টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সার্বিকভাবে ডলারের সংকট রয়েছে। সে কারণে ব্যাংক কিছুটা কনজারভেটিভ আছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসব কিছুর মধ্যেও তারা কাভার করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা এসেছে—নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায় তাহলে ভালো হবে। আমরা এ ব্যাপারে লিখব বাংলাদেশ ব্যাংককে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের তথ্য অনুযায়ী মজুত করা হয়েছে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। একটু সমস্যা আছে এলসি (আমদানি ঋণপত্র) খোলায় ধীরগতি, আমরা সে ব্যাপারে সাহায্য করতে চাই। ঘাবড়ানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি।

এলসি খোলার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের কীভাবে সাহায্য করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের জানালে আমরা সুপারিশ করবো উনার এলসি যেন খুলে দেওয়া হয়। অনেক সময় এলসি ছাড়াও আমরা অনুমতি দিতে পারি। তেমন হলে আমরা অনুমতি দিয়ে দেবো, এলসি লাগবে না।

করোনা বা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব; সব সময় পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে ছিল। সমস্যা হয় বাজার ব্যবস্থাপনায়, অতি মুনাফা লাভের প্রত্যাশায়। রমজানকে সামনে রেখে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, এই সমস্যাগুলো আছে। আমরা আলোচনা করেছি। প্রথম পর্যায় হলো দাম নির্ধারণ করা, দ্বিতীয় হলো বাজারে সেই দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে কি না এবং অতি মুনাফা লাভের আশা কেউ মজুতদারি করছে কি না—এ সবগুলো আমরা মনিটরিং করছি। এটা ঠিক, যখন কোনো সমস্যা হয়, সেটা বড় করে দেখিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চলে।

আমরা বলতে চাচ্ছি, যথেষ্ট পরিমাণ মজুত রয়েছে। সামনে এলসি খোলার চেষ্টা চলছে। রমজান মাসে সমস্যা হবে না বলেই আমরা মনে করছি, বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

প্রতিবার রোজার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে এবং জানায় পর্যাপ্ত মজুত আছে, কোনো সমস্যা হবে না। তারপর দেখা যায় দাম বেড়ে যায়। এবারও তেমন হতে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, রমজান শুরুর ৭ দিন আগে ক্রেতারা বাজারে উপচে পড়েন, সেটা দরকার নেই। ১ মাসের পণ্য একবারে না কিনে প্রতিদিন কিনলে এই সমস্যা হয় না।

ক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশের সব মানুষ যদি মনে করে একদিনে সব কিনে ফেলবো, তাহলে তো হবে না! সরবরাহ তো ঠিক রাখতে হবে। ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে, হুট করে কেনার দরকার নেই। এটা সারা মাস ধরেই পাওয়া যাবে। আপনারা ১ মাসের জিনিস একসঙ্গে কিনবেন না। আমরা সার্বিকভাবে চেষ্টা করছি, রমজান মাসে যাতে সমস্যা না হয়।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance crosses $30 billion for first time

Inward remittance rises 26.5% in Jul–Jun period

1h ago