‘ফেব্রুয়ারি-মার্চে শ্রীলঙ্কা ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের কিস্তি ফেরত দেওয়া শুরু করবে’

গভর্নর
ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার কাছে পাওনা ২০০ মিলিয়ন ডলার দেশটি আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে ফেরত দেওয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরসের সভার বাইরে তিনি শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরসিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

এ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, 'শ্রীলঙ্কাকে আমরা সোয়াপ অ্যারেঞ্জমেন্টের জন্য ৩ দফায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিলাম। কিন্তু দেশটি অর্থনৈতিক সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে আমাদের সেই অর্থ ফেরত দিতে পারেনি। আমরা ঋণ শোধের মেয়াদ ২ দফা বাড়িয়েছি।'

'আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ৩ কিস্তিতে তারা আমাদের ওই অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা,' যোগ করেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরসিংহ তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উল্লেখ করে আব্দুর রউফ তালুকদার আরও বলেন, 'গভর্নর আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে তারা ইকনোমি রিস্ট্রাকচার করছেন ভারত, জাপান ও চীনের সঙ্গে। আইএমএফের একটা প্রোগ্রামে যাচ্ছে তারা, এটা মোটামুটি কনফার্ম। নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়তো তারা একটা ফাইনাল অ্যাগ্রিমেন্টে যাবে।'

'আমাকে যেটা কনফার্ম করেছেন শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর সেটা হল ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে যে ডেডলাইন আছে, সে অনুযায়ী তারা আমাদের ওই ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারবে,' বলেন তিনি।

'এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো খবর' উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, 'শ্রীলঙ্কা এতদিন এটা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। কিন্তু, আজ তাদের গভর্নর আমাকে এটার নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে তারা এবার ডেডলাইন মিট করবেন।'

৩ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার শর্তে শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশের কাছ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল। তবে কয়েক দফা বাড়িয়ে ওই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ চলতি মে মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

পরে শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের এপ্রিলে ওই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানো হয়।

গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরসের ৭ দিনব্যাপী বার্ষিক সভা শুরু হয়। সভায় অংশ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।

আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার বাইরে বাংলাদেশের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন স্ট্যান্ডার্ড-চার্টার্ড এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিনিধি ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি-মরগ্যানের ভাইস-চেয়ারম্যান। 

গভর্নর বলেন, 'এ দুটি বৈঠক মূলত তারাই চেয়েছে বলে হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সুবিধা দিতে চায়। আমরা বলেছি যে আমাদের জানা থাকল। আমাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করব। তবে আমি তাদের বলেছি যে আমাদের বেসরকারি খাতকে যেন তারা সহায়তা করে। কারণ আমাদের দেশে তাদের ব্যবসা আছে। সেখানে তাদের এক্সপোজারের একটা লিমিট আছে। তারা কিন্তু তাদের লিমিট নিয়মিতভাবে বাড়াচ্ছে।' 

আগামীকাল কমনওয়েলথ দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গভর্নরদের নিয়ে বৈঠক আছে এবং বাংলাদেশ এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সে হিসেবে আমি ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করব।'  

 

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

1h ago