হা-মীম গ্রুপের কারখানার ছাদে ৪.৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর প্যানেল

হা-মীম গ্রুপ
হা-মীম গ্রুপের কারখানার ছাদে সৌর প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত

হা-মীম গ্রুপের কারখানার ছাদে চার দশমিক চার মেগাওয়াট পিক (এমডব্লিউপি) বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সেখানে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২ দশমিক দুই মেগাওয়াটে উন্নীত হলো।

শিল্পগোষ্ঠীটির ভাষ্য, দেশি পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা।

২০২০ সালে চট্টগ্রামে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে শিল্প-কারখানার ছাদে দেশের সর্ববৃহৎ সৌর প্যানেল বসানো হয়।

ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন পরিচালিত এই শিল্পাঞ্চলে বর্তমানে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তা বেড়ে ৫০ মেগাওয়াট হতে পারে।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার হা-মীম গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সর্বাধুনিক সৌর প্যানেল বসিয়েছে দেশি প্রতিষ্ঠান ফ্লোসোলার সলিউশনস। এর আগের প্যানেলটি বসিয়েছিল সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী সোলারিক।

সেখানে ১২.২ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল বসাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে 'প্রোগ্রাম টু সাপোর্ট সেফটি রেট্রোফিটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল আপগ্রেড ইন দ্য বাংলাদেশি রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর' থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে প্রায় সাত কোটি টাকা।

হা-মীম গ্রুপের জ্বালানি বিভাগের দায়িত্বে থাকা তানুল চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিবেশবান্ধব জ্বালানির জন্য বৈশ্বিক ফোরাম ও কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজনীয়তার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

হা-মীম গ্রুপের লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা।

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বস্ত্র বিভাগের কারখানাগুলোর ছাদে আরও ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা আছে শিল্পগোষ্ঠীটির।

'তবে এর মাধ্যমে আমাদের মোট কার্বন নিঃসরণ মাত্র ছয় শতাংশ কমবে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে আসতে আমাদের আরও ৩০০ মেগাওয়াট প্রয়োজন। মৌলভীবাজারে আমাদের চা বাগানে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছি।'

ফ্লোসোলার সলিউশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা একে খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সর্বশেষ এই ব্যবস্থার ফলে শিল্পগোষ্ঠীটির পোশাক ও ওয়াশিং কারখানাগুলোয় প্রতিদিন গড়ে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে।'

তিনি জানান, গত জুলাইয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও কমিশনিং শেষ হয়েছে। দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পাওয়ারএনসান থেকে ইনভার্টার সংগ্রহ করা হচ্ছে।

'সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে জ্বালানি খরচ অনেক কমবে। প্রতিবছর যথেষ্ট পরিমাণে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কার্বন নিঃসরণ কমবে। বিদেশি ক্রেতারা যেহেতু নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছেন, তাই আরও কারখানায় প্যানেল বসানো হবে।'

পাওয়ারএনসানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এলকে ভার্মা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হা-মীম গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলোর ছাদে চার দশমিক চার মেগাওয়াট সৌরশক্তি প্রকল্পটি শেষ করা পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

3h ago