শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা ঠেকাতে সাভার-গাজীপুরে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ অভিযান
সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা ঠেকাতে যৌথ অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আজ ভোর থেকে আমাদের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন সকাল ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কোনো শ্রমিক জমায়েতের তথ্যও পাওয়া যায়নি।'
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বেশ কয়েকটি কারখানায় পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কারখানা বন্ধ দেখে অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরে গেছেন।
শ্রমিক আন্দোলনের কারণে তৈরি পোশাক শিল্প এবং অন্যান্য শিল্প খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব আশঙ্কা প্রকাশ করেন, শিল্প খাতে অস্থিরতার পেছনে একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে।
বৈঠকের পরে যোগাযোগ করা হলে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের শ্রমিকদের কোনো সমস্যা নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।'
আশুলিয়া থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানিয়েছেন, সকাল ৮টার দিকে একদল শ্রমিক আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি কারখানার সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দিতে এবং জন ভোগান্তি সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন।
সেনা কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন, শিগগির তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবেন।
দ্য ডেইলি স্টারের সাভার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বর্তমানে জামগড়া, ডিইপিজেড, বাইপাইল ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়ক এলাকায় ৫০ শতাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
তৈরি পোশাক ও ওষুধ শিল্প খাতের শ্রমিকরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাত দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আজ থেকে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কয়েকটি বাহিনী সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে।
Comments