রাজধানীর একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শসা, কাঁচামরিচ ও টমেটোর দাম কিছুটা বাড়লেও বাকি সব সবজির দাম কমেছে।
সাধারণত মধ্যরাত থেকে সকাল ৭টার মধ্যে পাইকারি বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
পেঁয়াজের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, দেশি জাতের দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন।
পেঁয়াজের দর গত বছরজুড়ে বেশি থাকলেও এ বছরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি চাহিদা। দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কি না—শঙ্কায় পাবনা ও ফরিদপুরের চাষিরা।
চট্টগ্রামে তেলের সরবরাহ যদি স্বাভাবিক না হয়, তাহলে বুধবার থেকে গুদাম পর্যায়ে অভিযান চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
চট্টগ্রামে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের (খোলা) দাম প্রতি লিটার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। অবিলম্বে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
‘যদি কর্তৃপক্ষ বাজার সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, তাহলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারত।’
প্রধান উপদেষ্টা বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সকে কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
কৃষি মার্কেটের পার্কিং থেকে দোকান সরিয়ে নিতে বাজার কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি পাঁচ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।
‘দীর্ঘদিন ধরে দেশে দুই অংকের মূল্যস্ফীতি চলছে। ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে,’
দেশের বাজারে ও ভারত থেকে আনা আলুর দাম সমান হওয়ায় এতদিন আলু আমদানি বন্ধ ছিল।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এবং ভারী বর্ষণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে পণ্যবাহী যানের প্রবেশ কমেছে ৬০ শতাংশ।
মরিচের আকার ও মান ভেদে ২০০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানগুলোতে।
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
বুধবার ঢাকার কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর ১১ নম্বর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।